শেষরক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার সাতসকালেই আবারও এক দুঃসংবাদ। প্রয়াত হলেন বামশাসনের দ্বিতীয় এবং শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া পড়ে বিনোদন জগতে।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর মৃত্যুতে একাধিক স্বনামধন্য ব্যক্তিরা শোকপ্রকাশ করেন। পাশাপাশি টলিউডের তারকা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদেরও শোক প্রকাশ করেন। অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন। কথা বলার অবস্থায় নেই রূপা, কান্নায় গলা বুজে এসেছে অভিনেত্রীর। উনি অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন, অনেকদিন ধরেই দেখা করার ইচ্ছে ছিল কিন্তু তা আর হয়নি। উনি আমাদের কাজে খুব সাহায্য করতেন। নন্দনে যখন কাজ করতাম, তখন মাঝেমধ্যে দেখা হতো, কাজেরও প্রশংসা করতেন৷ ওনার আত্মার শান্তি কামনা করেন।
অভিনেতা-পরিচালক অরিন্দম শীলের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে অরিন্দম শীল বলেন, আমার প্রচণ্ড মন খারাপ হচ্ছে বুদ্ধদার প্রয়াণের খবরটা পেয়ে। দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেনও। বুদ্ধদা অসম্ভব একজন ভাল মানুষ ছিলেন৷ এবং অত্যন্ত সৌজন্যবোধ ছিল তাঁর। বহুদিন আগে আমার একটা লেখা ছিল, ‘দ্য শেষ ভদ্রলোক বাঙালি বাবু’। তিনি একদম সেটাই। এরকম সংস্কৃতিপূর্ণ, সৌহাদ্যপূর্ণ, এত সুন্দর একটা মানুষ তিনি যা বলে শেষ করা যাবে না। অনেক স্মৃতি ভেসে আসছে। ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সময়, ওঁনার সঙ্গে চায়ের আড্ডা, মৃণাল সেন, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, বুদ্ধদা আমরা সবাই গল্প করছি, বুদ্ধদার কবিতা পড়ে শোনানো,টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে এসে মুড়ি তেলেভাজা খাওয়া৷ এগুলো খুব মনে পড়ছে। বুদ্ধদার চলে যাওয়া মানে একটা জমানা চলে যাওয়া৷ এই মানুষগুলো আর ফিরে আসবে না৷ এবং পশ্চিমবঙ্গের জন্য ওনার অবদান অনস্বীকার্য।