স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অপসারণ করার ইস্যুতে ফের নবান্ন-রাজভবন সংঘাতে নয়া মোড়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নির্দেশে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছে সুহৃতা পালকে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের এই সিদ্ধান্তের পরই এবার রাজভবনের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন অপসারিত উপাচার্য সুহৃতা পাল। স্বাস্থ্যসচিব, বিশেষ সচিব (স্বাস্থ্য), বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, ওএসডি (জয়েন্ট সেক্রেটারি) রাজভবনকে পক্ষ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন তিনি, এমনটাই খবর আদালত সূত্রে। সঙ্গে এ খবরও মিলেছে আগামী সোমবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-র নিয়ম মেনে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হননি বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপাচার্যের থেকে জবাব তলব করেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল। কেন তিনি এখনও উপাচার্য পদে এই প্রশ্ন তুলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্যের জবাব তলব করেন রাজ্যপাল সি বি আনন্দ বোস। জানা যাচ্ছে, উপাচার্যের জবাবে সন্তষ্ট হননি আচার্য। আর এরপরই উপাচার্যকে সরানোর কথা স্বাস্থ্যসচিবকে জানিয়ে দেয় রাজভবন। সঙ্গে রাজভবনের তরফ থেকে এও জানানো হয়, ইউজিসি’র যে নিয়ম মানা হয়নি। এই প্রসঙ্গে রাজভবনের বক্তব্য, সার্চ কমিটিতে ইউজিসি’র কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। ফলে ইউজিসির নিয়ম না মানায় তা আদালত অবমাননার সামিল বলে মনে করে রাজভবনের। রাজ্যপালের এই পদক্ষেপের পরই সটান কলকাতা হাইকোর্টে হাজির হন স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য অপসারিত উপাচার্য সুহৃতা পাল। রাজভবনের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের শরনাপন্ন হন তিনি। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে সুহৃতা পালকে যে সার্চ কমিটি নিযুক্ত করেছিল তার প্রধান ছিলেন প্রাক্তন ডিএমই সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, সার্চ কমিটিতে তিনি বাদে সকলেই সরকারের প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি আরও জানান, তালিকায় তিন নম্বরে নাম ছিল সুহৃতা পালের। তবে এটাও ঠিক যে, সুহৃতা পাল উপাচার্য হওয়ায় কিছুটা অবাক হয়েছিলেন সুশান্তবাবু।