যাদবপুর সেনা পোশাক কাণ্ডে ধৃত সাদেকের ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত

যাদবপুরে ভুয়ো সেনা পোশাক কাণ্ডে ধৃত সাদেক হোসেনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সেনার ভুয়ো পোশাক পরে ঢুকে পড়েছিলেন একদল যুবক যুবতী। সেই ঘটনায় শনিবার রাতে কাজি সাদেক হোসেনকে গ্রেফতার করে যাদবপুর থানার পুলিশ। এদিকে সাদেক নিজেকে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক বলে পরিচয় দেন। এরপর রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

এদিকে আদালত সূত্রে খবর, এদিন আদালতে সওয়াল জবাব পর্বে সরকারি আইনজীবী তুলে আনেন দেবাঞ্জন দেবের প্রসঙ্গ। কোভিডকালে সেই ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের কীর্তিতে তোলপাড় হয় কলকাতা। সাংসদকে ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়ার ‘কারিগর’ হিসাবে নাম জড়ায় দেবাঞ্জনের। এরপর একে একে তাঁর আরও কীর্তি সামনে আসে। যাদবপুরে ভুয়ো পোশাককাণ্ডে সেই দেবাঞ্জনের উদাহরণ টানেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। একইসঙ্গে সরকারি আইনজীবী এও আদালতে বলেন, ‘ফেক আর্মির কথা বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে। আমি বলছি না। ওখানে যে ঘটনা ঘটেছে, তার এভিডেন্স ট্যাম্পার করতে গিয়েছিল বলে আমরা মনে করছি।’ এদিকে অভিযুক্তের আইনজীবী বয়সের কথা বলে জামিনের আবেদন জানান। তবে শনিবার রাতে সাদেকের বাড়ি হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে একাধিক ভুয়ো পরিচয়পত্র, লেটার হেড ও সন্দেহজনক তথ্য বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনাকে সামনে রেখে যখন তোলপাড় চলছে, তখন নতুন বিতর্ক উস্কে দেয় একদল ছেলে মেয়ে। সম্প্রতি যাদবপুরের ক্যাম্পাসে সেনার মতো জলপাই পোশাকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাদের। কোথা থেকে এসেছে, কী পরিচয়, উদ্দেশ্যই বা কী তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন ওঠে। সবথেকে বড় প্রশ্ন, সেনার পোশাক পরনে থাকার কারণ তা নিয়েই সবথেকে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়। কোনও প্রশ্নেরই এখনও সঠিক জবাব মেলেনি। ফলে পুরো ঘটনাই ধোঁয়াশার মোড়কে। তবে এই ধোঁয়াশা সাদেককে জেরা করলেই কাটবে বলে মনে করছেন কলকাতা পুলিশ আধিকারিকেরা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − eight =