‘সেফ ড্রাইভ,সেভ লাইফ’ সচেতনার বার্তা উধাও, বেহালার সখের বাজারে মৃত ১

কোথায় ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর সচেতনতা! ফের কলকাতার রাস্তায় পথদুর্ঘটনা। বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ গেল এক মহিলার। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে বেহালার সখের বাজারে। এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকালে ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে ধর্মতলা থেকে ডায়মন্ড হারবারের দিকে যাচ্ছিল একটি বাস। সেই বাসেই ছিলেন ওই মহিলা। সখের বাজার ক্রসিংয়ের কাছে নামার সময় তাঁর শাড়ির আঁচল জড়িয়ে যায়। তারই জেরে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান তিনি। এদিকে সিগন্যাল খোলা  থাকায় বাসটিও এগিয়ে যায়।  মহিলার শরীরের উপর দিয়েই চলে যায় বাসটি। এরপর স্থানীয় দোকানদার ও পথচলতি মানুষরাই গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁকে। সেখানে চিকিৎসকেরা ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতার নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি বলে খবর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ। এদিকে এই গোলমালের সুযোগে ঘাতক বাসটিকে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালায় চালক । আপাতত সে পলাতক। তবে ঘাতক বাসটিকে আটক করে পুলিশ।
এদিনের এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট, কলকাতা শহরে প্রায় রোজই দুর্ঘটনার খবর সামনে আসে। চালকের অসাবধনতা, বেপরোয়া গতি, আরও একাধিক কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। পুলিশের তরফে বারবার সতর্ক করা হলেও লাভ মিলছে না। প্রসঙ্গত এই বেহালাতেই কিছু দিন আগে  এক ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বেহালা চৌরাস্তার কাছে বড়িশা স্কুলের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। অভিযোগ ছিল, স্কুলে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় বেপরোয়া গতির বলি হয় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। তারপরই শুরু হয় বিক্ষোভ। একাধিক রাস্তা অবরোধ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামাতে হয়েছিল। হাইকোর্টেও দায়ের হয়েছিল মামলা।
অন্যদিকে বসে নেই প্রশাসনও। কলকাতায় বাস দুর্ঘটনা কমাতে ‘যাত্রী সাথী অ্যাপ’ চালু করেছে রাজ্য সরকার। এই অ্যাপের সাহায্যে বাসের গতিড় উপর নজরদারি রাখতে পারবে পুলিশ ও পরিবহণ দফতর। যদি কোনও বাসের গতি অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, তা জানতে পারবে পুলিশ। পাশাপাশি বাসটি কোথায় রয়েছে তাও ট্র্যাক করা যাবে।
তবে  পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী সম্প্রতি পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানিয়েছিলেন, ‘আগে বছরে ৭০ হাজার দুর্ঘটনা ঘটত, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে তেরো হাজারে।’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে দুর্ঘটনা আরও কমানো যায় সেই প্রচেষ্টাও চলছে বলে জানান পরিবহণ মন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × one =