বরানগরের অন্তর্বর্তী নির্বাচনী প্রচারে অনুব্রতর শব্দবন্ধে হুঁশিয়ারি সজলের

শনিবার লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফা যেমন রয়েছে ঠিক তেমনই রয়েছে বরানগর কেন্দ্রে বিধানসভার উপনির্বাচনও। এই উপ নির্বাচনে সজল ঘোষ বিজেপির হয়ে লড়াই করছেন। বৃহস্পতিবার শেষ দিনে শীলভদ্র দত্ত ও সজল ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার সারতে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। এদিনের প্রচারে এসে রাজ্য় বিজেপি সভাপতির দাবি, দমদম লোকসভা ও বরাহনগর বিধানসভা, দুটি কেন্দ্রেই এবার পদ্ম ফুল ফুটবে। জোর গলায় দাবি করেন তিনি। প্রচার শেষে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করতেও পিছপা হননি সুকান্ত। রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস ভাতা দেওয়ার রাজনীতি করে চলেছে। শিক্ষিত মানুষ, বেকার যুবক-যুবতীদের কাজের জায়গা তৈরি করে দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। আর এরই রেশ টেনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস চায় মানুষ গরিব থাকুক। ভাতা দিয়ে ভোটটা নিয়ে নেব। এখানে কত কল কারখানা সব বন্ধ হয়ে আছে। শ্মশান, বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে।’ এরই পাশাপাশি গঙ্গার পাড়ের ধর্মীয় স্থানের জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে, এই অভিযোগও করেন তিনি। তবে বিধানভা অন্তর্বর্তী নির্বাচনী জয়লাভে প্রত্যয়ী সুকান্তর গলায় শোনা যায়, ‘এখানে জোড়া পদ্ম, আর তৃণমূল পুরো জব্দ।’

তবে এদিন অনুব্রতর ‘চড়াম চড়াম’, ‘গুড়-বাতাসা’ শব্দবন্ধের অনুরণন শোনা গেল বিজেপি নেতা সজল ঘোষের গলায়। হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ভোটে বাধা দিলে চড়াম চড়াম, গুড়-বাতাসা দেওয়া হবে। মানুষ তৈরিই রয়েছেন, তৃণমূল যে ভাষা বোঝে, সেই ভাষাতেই জবাব পাবে বলে মন্তব্য করলেন সজল। সঙ্গে এও বলেন,

‘ভোটের দিন ভোট হবে। আর যারা ভোটকে নষ্ট করতে চাইবে, তাদেরকে ওই চড়াম চড়াম, গুড়-বাতাসা, যা যা দেওয়ার দেওয়া হবে। ছেড়ে দেব না। আমার এলাকার মানুষ তৈরি হয়ে আছেন। আমি গোর্খা জানি, বাংলা জানি, রাশিয়ান জানি, চিনা জানি, যে ভাষায় বলবে, সে ভাষায় জবাব দেব। যেখানে চড়াম চড়াম দিতে হবে দেব, যেখানে নকুলদানা দিতে হবে, যেখানে গুড়-বাতাসা দিতে হবে দেব।’

আর এখানেই প্রশ্ন উঠে গেল, বিপরীত দলের সদস্য হলেও, অনুব্রতকেই এবার সজল অনুসরণ করছেন কি না তা নিয়েও। এ প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য, ‘আমি চাই, ভোট হোক অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট হোক। এই চড়াম চড়াম, নকুলদানা, গুড়-বাতাসা, কোনওটাই আমি দেব না। আমি দলের সঙ্গে থাকব। দেবে তো মানুষ! আমি অনুব্রত নাকি, যা করার মানুষ করবেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − eight =