সঞ্চিতা দে
কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলা, যোধপুরে ঘটে যাওয়া ঘটনার জেরে এখনও বারেবারে আদালতের দরজায় ছুটে যেতে হয় সলমন খানকে। হাম সাত সাত হ্যায় ছবির শুটিং চলাকালীন এই কাণ্ডে জড়িয়ে গিয়েছিলেন সলমন খান-সহ সইফ আলি খান, সোনালি বিন্দে প্রমুখেরাও। কেবলমাত্র আনন্দের জেরেই দু-দুটি কৃষ্ণসার হরিণকে হত্যা করেছিলেন তাঁরা।
এই মামলায় একবার জেলেতেই বন্দি অবস্থায় কাটাতে হয়েছিল সলমন খানকে। হেয়ারিং-এর জন্য রাখা হয়েছিল পুলিশি হেফাজতে। সেদিন আর পাঁচটা কয়েদির মতই দিন কেটেছিল তাঁর। জেলে প্রবেশ করতেই মিলেছিল নম্বর, পরিচয় লিপিবদ্ধ হয়েছিল কয়েদি নম্বর ১০৬ বলেই।
মিলেছিল জেলের পোশাক। এদিন কোনও বিশেষ কিছু দাবিও করতে দেখা যায়নি তাঁকে। আর দেওয়া হয়েছিল একটাই মগ। তাতেই জল পান থেকে বাথরুম। জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁর কিছু লাগবে কি না! তিনি সাফ না জানিয়ে দিয়েছিলেন। সেদিন কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল সলমন খানের জন্য। ঝড়ের বেগে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল খবর। ওয়ার্ড নম্বর ২-এ ছিলেন তিনি। ৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশও শোনানো হয়েছিল সলমন খানকে। এর পাশাপাশি নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানাও স্থির করা হয়েছিল। সেদিন সলমন খানের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই সিদ্ধান্তকে তিনি সম্মান জানিয়েছেন। যদিও পরবর্তীতে তিনি জামিন পান। তবে সেই দিনের স্মৃতি সলমনের জীবনে কালো অধ্যায় হয়েই রয়ে গিয়েছে। যদিও এখনও মেলেনি নিষ্কৃতি। চলছে এই কেস নিয়ে এখনও চুলচেরা বিচার।
বর্তমানে এই কেসের পাশাপাশি বলিউডে একের পর এক ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত তিনি। তবে সর্বদাই তাঁকে প্রস্তুত থাকতে হয়, হাজিরার জন্য। সম্প্রতি এই কেস নিয়ে আবারও জলঘোলা হচ্ছে। ফলে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকাণ্ড থেকে তাঁর এখনই মুক্তি নেই।