সল্টলেকের ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে প্রবীণদের নিরাপত্তা নিয়ে

রবিবার সল্টলেকে সাত সকালে যে ঘটনা ঘটে গেল, তাতে প্রশ্ন উঠে গেল বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নিরাপত্তা নিয়ে। সকাল ৮টার সময় বাড়িতে ঢুকে খুনের চেষ্টা করা হয় বৃদ্ধাকে। পরিচিত এক যুবকের বিরুদ্ধেই ওঠে এই অভিযোগ। সূত্রে খবর, সল্টলেকের পূর্বাচলের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ছায়া সেনগুপ্ত। বাড়ির ইন্টারনেট কানেকশন ঠিক করার জন্য লোক ডেকেছিলেন তিনি। এরপর শনিবার সকাল ৮ টা নাগাদ লোক এসে ডাকতে থাকে। দরজাও খুলে দেন তিনি। দেখেন ইন্টারনেট ঠিক করার লোকই এসেছে। সঙ্গে আরও একজন। দরজা খুলে বাড়িতে ঢুকতে দেন তিনি। বৃদ্ধার অভিযোগ, তাঁকে বলা হয়, ‘এখানে নয়, কানেকশন ঠিক করতে শোওয়ার ঘরে যেতে হবে।’ এই বলে ভিতরে চলে যান তাঁরা। বৃদ্ধা বলেন, ‘এরপর আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় ওরা। তারপর আমার গলাটা টিপে ধরে। এরপর ইঞ্জেকশন দেয়। আমি অজ্ঞান হয়ে যায়নি।’ তারপর থেকে আর কিছু মনে নেই তাঁর। জ্ঞান ফেরার পর কোনও রকমে দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে চিৎকার করতে থাকেন বৃদ্ধা। খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যে। দেখা যায়, বৃদ্ধার গা থেকে সব গয়না খুলে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ, আলমারির লকার থেকে জড়োয়ার হার-দুল, নগদ তিন লক্ষ টাকা নিয়ে পালায় দুষ্কৃতিরা।

এরপর বিধান নগর দক্ষিণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায় নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃদ্ধা জানান, শুভঙ্করের মুখ ঢাকা থাকায় চিনতে পারেননি তিনি। বৃদ্ধা জানিয়েছেন, একসময় ওই যুবক তাঁর স্বামীর দেখাশোনা করতেন। কিন্তু কাজে খামতি থাকায় তাঁকে কাজে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। সেই রাগেই এমন করলেন বলে তাঁর অনুমান।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 7 =