একটানা পনেরো দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে গ্রেফতার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখার হাতে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হলেন সন্দীপ ঘোষ। তিলোত্তমার ধর্ষণ ও খুন মামলায় গ্রেফতার হননি।
সোমবার সিবিআই সন্দীপকে নিয়ে সিজিও থেকে বেরিয়ে নিজাম প্যালেসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। তখন থেকেই জল্পনা তৈরি হতে থাকে বড় কোনও সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিতে চলেছে কি না তা নিয়ে।
তিলোত্তমার মৃত্যুর পরই সন্দীপ ঘোষের নাম উঠে আসে। সেখানকার প্রাক্তন সুপার আখতার আলির সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। এর পাশাপাশি সিবিআই-এর কাছে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় যে নাম উঠে এসেছিল তার মধ্যে প্রথমেই ছিল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের নাম। একই সঙ্গে আরও তিনটি সংস্থার নামও ছিল সেখানে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সংস্থা গুলির সঙ্গে সন্দীপের সরাসরি যোগাযোগ মিলেছে বলে খবর। এরপরই অ্যান্টি কোরাপসান ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের সঙ্গে, যাঁরা খুন ও ধর্ষণের তদন্ত করছেন। এরপরই দুজন সিবিআই আধিকারিক কার্যত আটক করে নিয়ে আসেন সন্দীপকে। এরপর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সন্দীপকে। রোজ নিয়ম করে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন সন্দীপ। সোমবারও গিয়েছিলেন। এর আগে তাঁর সন্দীপের বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছিল। পরবর্তীতে আরজি কর থেকেও বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়। এর পাশাপাশি তাঁর আরজি করের কক্ষ থেকেও বেশ কিছু হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত হয়। সেখান থেকেই কোনও ক্লু পেয়েছিলেন আধিকারিকরা এমনটাই ধারনা করছেন অনেকেই।