হাসপাতালের বেওয়ারিশ লাশ বিক্রি করারও বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। সন্দীপের বিরুদ্ধে আখতার আলির দাবি, মৃতদেহ নিয়ে ব্যবসা থেকে বেআইনি আর্থিক লেনদেনে জড়িত সন্দীপ ঘোষ। তাঁর আরও দাবি, টাকা পয়সা সংক্রান্ত সমস্ত নীতি ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে চলতেন সন্দীপ ঘোষ। অ্যাকাউন্ট অফিসারের সমস্ত কিছু অগ্রাহ্য করে উল্টে পছন্দের লোককে যাতে দ্রুত টাকা পাওয়া যায় তার জন্য চাপ দিতেন। এমনকী পড়ুয়াদের নম্বর বাড়ানোর বদলে ঘুষও নিতেন বলে অভিযোগ সন্দীপের বিরুদ্ধে।
হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গাতে সিভিল এবং ইলেকট্রিক্যাল কাজের জন্য পিডব্লিউডি-কে বাদ দিয়ে বাইরে থেকে তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে সেই কাজ করানো হত। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের যে কোনও কাজ বিভিন্ন ভাবে ভাগ করে এক লাখ টাকার কমে করানো হত, যাতে ই-টেন্ডার না করতে হয়। সমস্তটাই বেআইনি এবং ইচ্ছাকৃতভাবে করতেন সন্দীপ ঘোষ।
তাঁর আরও দাবি, ক্ষতিকারক বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট বা বর্জ্য তার নিজস্ব ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর মাধ্যমে বাইরে বিক্রি করা হত। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি-সহ আরও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ এনে ইডি তদন্তের আর্জি জানিয়ে মামলার আবেদন করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের এজলাসে। সঙ্গে আখতার আলির তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তার আবেদনও জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টে।