রাজ্য পুলিশের ডিজির আশ্বাসের পরই বদলাতে শুরু করেছে সন্দেশখালির ছবিটা। কারণ, ডিজিপি রাজীব কুমার স্পষ্ট জানিয়েছেন, সন্দেশখালির ‘ত্রাস’ শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হবে। এদিকে রাতভোর সন্দেশখালি চষে বেরাতে দেখা গেছে পুলিশ কর্তাদের।শুধু শাহজাহান-ই নন, সন্দেশখালিতে যাঁরা আইন ভেঙেছেন, তাঁরা সকলেই গ্রেফতার হবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন ডিজি। ডিজির মুখে শাহজাহানের গ্রেফতারের প্রসঙ্গ ওঠায় প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি প্রভাবশালীদের হাত উঠতে শুরু করেছে শাহজাহানের মাথা থেকে? আর এসবের মধ্যেই সন্দেশখালিতে তার প্রভাব পড়তে শুরু করল। সন্দেশখালির দখল হয়ে যাওয়া খেলার মাঠে আগে অবস্থায় ফিরিয়ে দিল প্রশাসন। চুনকাম করে মুছে দেওয়া হল শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাবের নাম। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাতারাতি দখল হয়ে গিয়েছিল সন্দেশখালির মিশন মাঠ। শিবু হাজরার অঙ্গুলি হেলনে মাঠের চরিত্র বদলে হয়ে যায়। মাঠে ঢোকার মুখে ফলকে খোদাই হয় শেখ শাহজাহানের নাম। অভিযোগ, মাঠে খামার তৈরির পরিকল্পনা ছিল। বুধবার রাত থেকে ওই মাঠ জরিপ করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন। সঙ্গে বৃহস্পতিবার কচি কাচাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ফুটবল জার্সি।
এদিকে মাঠ দখলের অভিযোগ কিন্তু মানতে চাননি বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। তবে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, গ্রামের এই মাঠে একটা সময়ে খেলা বেড়াত কচিকাচারা। কিন্তু রাতারাতি সেই মাঠে ওঠে পাঁচিল। দখলের অভিযোগ ওঠে। তারপর থেকে সেই মাঠে আর ঢুকতে পারে না গ্রামের কচি কাচারা। বাচ্চারা তো দূরের কথা, বড়রাও সেই মাঠে আর পা মাড়াতে পারেন না। এদিকে বিধায়কের দাবি, ‘পাঁচিলে লেখা রয়েছে। কারণ ২০২২ সালে একটা ফুটবল টুর্নামেন্ট হয়েছিল। সেখানে লাখ লাখ মানুষের ভিড় হয়। বোঝাই তো যাচ্ছে একটা খোলা মাঠ। সবাই ঢুকতে পারে।’