জামিন চেয়ে শিয়ালদহ কোর্টে ফের আবেদন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। এর আগেও আবেদন করেছেন তিনি। সেই জামিন নাকচ করে আদালত।আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সোমবার শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে শুনানি হয সোমবার।সেই পর্বে এদিন ভার্চুয়াল অংশ নেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ও আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।
আদালত সূত্রে খবর, এদিন শুনানিতে সিবিআইয়ের তরফ থেকে দাবি করা হয়, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ৫টি ডিভিআর ও ৫টি হার্ড ডিস্ক আবার সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। যে বিষয়গুলো আগে পাওয়া যায়নি, সেগুলো জানতে চায় তদন্তকারীরা। পাশাপাশি সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে কিছু তথ্য প্রমাণ ছিল, সেগুলোচার্জশিটেদেওয়াহয়েছে।
উল্টোদিকে অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, ‘জামিনের আবেদন করছি আমরা। আমরা বিচার পেতেই আদালতে এসেছি। এটা মোঘল রাজ নয়। বাদশাহ বললেই হবে না কে কে জেলে থাকবে। এটা আদালত।‘ আইনজীবীর আরও দাবি, ‘আমাকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখন ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় ৬৪, ৬৬, এবং ১০৩ ধারায় গ্রেফতার করা হয়। তার মানে এই কেসে যোগ আছে ।কিন্তু আদালতে প্রথম দিন সিবিআই জানিয়েছিল ধর্ষণ ও খুনের যোগে গ্রেফতার করা হয়নি। তথ্য নষ্ট সম্ভাবনায় গ্রেফতরা করা হয়েছে। ৬৫ দিন অতিক্রান্ত। এদিকে কোনও চার্জশিট দেয়নি। কোনও সেকশন যুক্ত করা হয়নি। এদের বিরুদ্ধে খুন ও ধর্ষণের চার্জ নেই। শুধু তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগের কথা বলছে। তাই জামিন পেতেই পারে।‘ এর পাশাপাশি অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী এদিন এও বলেন, ‘সিবিআই বলছে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়ে থাকতে পারে। এর মানে নাও তো হতে পারে।
দু’পক্ষের সওয়াল–জবাব পর্বের পর বিচারক বলেন, যদি তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য আলাদা কোনও মামলা হত, তাহলে সাত দিন পেরিয়ে গিয়েছে তারা জামিন পেতেই পারত। কিন্তু মূল মামলার সঙ্গে তাদের যুক্ত করা হয়েছে। সেজন্য এই মামলায় যাবেন নিতে গেলে উচ্চ আদালতে যেতে হবে।