সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। এবার তদন্ত আরও এগোতে সামনে এসেছে রীতিমতো প্রাইভেট প্র্যাকটিস চালাতেন এই সরকারি হাসপাতালের অধ্যক্ষ। শুধু প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে ক্ষান্ত দেননি সন্দীপ ঘোষ, তদন্তে উঠে আসছে আরও বড় অভিযোগ!সঙ্গে প্রাইভেটে অপারেশনও করতেন তিনি। আর সেখান থেকে বিপুল টাকা আসত এই সরকারি চিকিৎসক তথা সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের, এমনটাই অনুমান সিবিআই এর তদন্তকারী দলের।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সন্দীপ ঘোষের প্রাইভেট প্র্যাকটিস মূলত চলত একাধিক মফস্বল শহর জুড়ে। আর তারও বিভিন্ন জায়গায় ছিল বিভিন্ন রেট। প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০, এমনকী ২০০০ টাকা পর্যন্ত রেট ছিল সন্দীপের। ফলে এটা খুব স্পষ্ট যে, এইসব প্রাইভেট প্র্যাকটিস থেকে বিপুল টাকা আসত সন্দীপ ঘোষের। আর তাতেই নাকি ক্রমশ ফুলেফেঁপে ওঠে সন্দীপ ঘোষের সম্পত্তি। অন্তত তেমনটাই ইঙ্গিত সিবিআই তদন্তে। শুধু তা নয়, রোগী কোথায় প্রাইভেটে দেখাচ্ছে তার উপর নির্ভর করে টাকা নিতেন সন্দীপ ঘোষ। সিবিআই সূত্রে এও জানা যাচ্ছে অধ্যক্ষ থাকার আগে থেকেই সন্দীপের প্রাইভেট প্র্যাক্টিস। তদন্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে, সন্দীপের প্রাইভেট প্র্যাকটিস অপারেশনের বিপুল টাকা কোথায় কোথায় কী কাজে ব্যবহার হত সেসব কিছু খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
সরকারি হাসপাতালের অধ্যক্ষ হয়ে বছরের পর বছর কীভাবে নাকের ডগায় রমরমিয়ে প্রাইভেট প্রাকটিস চালাচ্ছিলেন সন্দীপ ঘোষ সে প্রশ্নের উত্তরও খুঁজছে সিবিআই।