৫ এবং ৬ জুলাই, দুই দিন ‘সারা বাংলায় জল বন্ধ’ বলে একপ্রকার এক কর্মবিরতি-র ডাক দেওয়া হল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের অধীনে পরিশ্রুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের নিয়মিতকরণ, এআইসিপিআই অর্থাৎ অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী ডিএ-এর দাবিতে এই কর্মসূচি।
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের অধীনে অস্থায়ী কর্মীদের জীবন এবং জীবিকা নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন। কারণ সরকার তাদের নিয়মিত বেতন দিচ্ছে না। অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণের দাবি পাশাপাশি এই দপ্তরের কর্মীদের বকেয়া ডিএ দেওয়ার দাবিতে এই দুই দিন ব্যাপী কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।‘
এই হুঁশিয়ারি বাস্তবে রূপায়িত হলেগ্রামীণ জল সরবরাহে ধাক্কা পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ‘সাধারণ মানুষকে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করতে আমরা চাই না। কিন্তু, যাঁরা এই পেশায় রয়েছেন তাঁরা যাতে নিয়মিত বেতন পান এবং ন্যায্য বেতন পান সেই জন্যই এই পদক্ষেপ।‘
তবে আগামী ৪ জুলাই পিএইচই অর্থাৎ পাবলিক হেল্থ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হলে এই দুই দিন ব্যাপী সারা বাংলা জল বন্ধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে। এদিকে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ জানান, ‘পাম্প অপারেটারটা ঠিকমতো বেতন পাচ্ছেন না। তাঁদের ডিএ কেটে নেওয়া হয়েছে। আর সেই কারণে অস্থায়ী কর্মীরা কাজ বন্ধ রাখবেন এই দুই দিন।‘
অন্যদিকে, তৃণমূলের কর্মচারি সংগঠনের চেয়ারম্যান মানস ভুঁইয়া ‘জল বন্ধ’ কর্মসূচির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটা অপরাধমূলক আচরণ। কোনও জায়গায় সৈনবাহিনী দিয়ে আক্রমণ করা হলেও জল বন্ধ করা হয় না। এটা একটা বিপজ্জনক পদক্ষেপ। প্রশাসন নিশ্চয়ই যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।‘