পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনায় চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছে শনিবার সকাল থেকেই। দিকে দিকে ছাপ্পার অভিযোগ। প্রতিবাদ করতে গেলে হুমকির মুখে পড়তে হয় ভোটকর্মীদের। আর তারই জেরে দিনভর আতঙ্কে সিঁটিয়ে থাকতে হয় ভোটকর্মীদের। এমন বিভিন্ন খণ্ডচিত্র ধরা পড়েছে সারাদিনে।
এইসব ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রবিবার কলকাতার রাজপথে নামছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। গ্রামে গ্রামে ভোট পরিচালনা করতে গিয়ে, যেভাবে সরকারি কর্মীদের হুমকির অভিযোগ উঠে আসছে, তার প্রতিবাদে এই মিছিলের ডাক বলে জানানো হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে।
শুধু তাই নয়, এই গোটা অব্যবস্থার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার দিকেই আঙুল তুলতে দেখা যায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষকে। পাশাপাশি এও জানা গেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে শনিবার বিকেলেই একটি ডেপুটেশনও দিতে যাচ্ছেন যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, ভাস্কর ঘোষ ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, নির্বাচন কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হবে। একইসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সবরকম তথ্য সংগ্রহ করতে শুরুও করে দিয়েছে যৌথ মঞ্চ, এমনটাই সূত্রে খবর। পাশাপাশি এও জানা গেছে, সমস্ত তথ্য একত্রিত করে আগামী সোমবার বা মঙ্গলবার আদালতে মামলা করা হবে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে স্পষ্ট বার্তা, ‘আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ নির্বাচন কমিশনার।’
এরই পাশাপাশি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, আদালত যেমন বলেছিল সমান সমান অনুপাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ মোতায়েনের জন্য, সেইভাবে কাজ করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের থেকেও বেশি সংখ্যায় সরকারি কর্মচারীরা আক্রান্ত হয়েছেন এবারের ভোটে, দাবি করা হয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে। আর এই সব ইস্যুগুলি এবার হাতিয়ার করেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বিঁধতে চলেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।