মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে বৈঠকে তুলে ধরা হোক বাংলার সরকারি কর্মচারীদের বঞ্চনার কথা। এমনই আর্জি জানিয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বেঙ্গালুরুতে। কারণ, মঙ্গলবারে মহা বৈঠকে বসছে অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলি। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন সেখানে। সোমবারে সোনিয়ার ডাকা নৈশভোজেও যোগ দিতে দেখা যায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাদ্যাকে। এদিকে মঙ্গলের মেগা বৈঠকের আগে সোমবার সন্ধেয় বিরোধী দলগুলির উদ্দেশে চিঠি পাঠাল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে বাংলার সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনের বিষয়টি জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের কাছে। চিঠিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে বাংলার সরকারি কর্মচারীদের ‘বঞ্চনার’ বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এই চিঠিতে জানানো হয়েছে,কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে ৪২ শতাংশ হারে মহার্ঘভাতা দেওয়া হচ্ছে, রাজ্যে সেখানে ৬ শতাংশ হারে মহার্ঘভাতা পাচ্ছে সরকারি কর্মচারীরা। শুধু তাই নয়,বাংলায় বিভিন্ন সরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ শূন্যপদ পড়ে রয়েছে বলেও দাবি তাঁদের। সেই কথাটিও লেখা হয়েছে চিঠিতে। ভাস্কর ঘোষ আরও লিখেছেন,স্থায়ী নিয়োগের বদলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের উপর রাজ্য সরকার জোর দিচ্ছে। একইসঙ্গে এই চিঠিতে এও জানানো হয়,ওই চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের মধ্যে যাঁরা যোগ্য, তাঁদের যেন স্থায়ী করা হয়। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সরকারি কর্মচারীদের হেনস্থার শিকার হওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে,সেই বিষয়টিও বিরোধীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে তুলে ধরা হয়েছে। মঙ্গলবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি যখন একসঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন,তখন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের এই অবস্থার কথাও যাতে বিরোধীদের বৈঠকে তুলে ধরা হয়,সেই আর্জিই জানানো হয়েছে সংগঠনের তরফ থেকে। আর এই বিষয়টি যাতে মঙ্গলবারে বৈঠকে অন্য বিরোধী দলগুলি তুলে ধরা হয়,সেই আর্জিও চিঠিতে জানানো হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে।