আরজি কাণ্ডে গ্রেফতার অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র বারবার নিজের বয়ান বদল করছেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এর আগে কলকাতা পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন অভিযুক্ত জেরায় ঘটনার কথা স্বীকার নিজের জন্য ফাঁসি চেয়েছিলেন। তবে সিবিআই-এর হাতে তদন্ত যেতেই যেন ডিগবাজি খাচ্ছেন অভিযুক্ত। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, বারবার বয়ান বদল করছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, সিবিআই সূত্রে এও জানানো হয়েছে, জেরা চলাকালীন তিনি বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁর হাসপাতালে যাওয়ার সময় এবং হাসপাতালে যাওয়ার কারণ, সেমিনার রুম যাওয়ার সময় এবং সেমিনার রুমে যাওয়ার কারণ নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছেন বলে জানতে পারা যাচ্ছে। জেরা চলাকালীন অভিযুক্ত দাবি করেন, ঘটনার দিন সেমিনার রুমে নাকি ঢোকেননি। উঁকি মেরে দেখেছিলেন। আবার পরের দফা জেরাতেই তিনি নাকি জানিয়েছেন, সেমিনার রুমে কাউকে দেখতেই পাননি। এরপর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে, ঘটনাস্থলে কীভাবে তাঁর ব্লুটুথ হেডফোন মিলল তা নিয়ে। তার উত্তর তিনি দেননি। সর্বপরি তাঁর দেহে আঁচড়ের দাগ কীভাবে লাগল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যার কারণে সিবিআই আধিকারিকদের কাছে অভিযুক্তের পলিগ্রাফ টেস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যদিও কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকদের বক্তব্য, তাঁদের কাছে যথেষ্ঠ তথ্য-প্রমাণ রয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ, অভিযুক্তের গতিবিধি সংক্রান্ত বিভিন্ন ফুটেজ রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারী আধিকারিকদের। এই সব কিছু মধ্য দিয়ে অভিযুক্ত যে সিবিআই এর হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে সেটা এক প্রকার স্পষ্ট। সেই কারণেই যত দ্রুত সম্ভব অভিযুক্তের পলিগ্রাফি টেস্টের চেষ্টা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনার ২৪ ঘণ্টার আগেই গ্রেফতার হন অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, হেফাজতে যেতেই সমস্ত দোষ স্বীকার করেন তিনি। জেরার সময় সে তদন্তকারী আধিকারিকদের বলে, ‘আমায় ফাঁসি দিয়ে দিন।’ তারপর এখন সিবিআই হেফাজতে যেতেই কেন বয়ান বদল, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।