আরজি কর-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি কলকাতা পুলিশে কাজ করতেন সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে, অন্তত এমনটাই জানানো হয়েছে লালবাজারের তরফ থেক। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে নিজের দোষ কবুল করেছে অভিযুক্ত। শুধু তাই নয়, ফাঁসির সাজাও চেয়েছে সে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে, অভিযুক্তকে জেরা করতেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। তার ফোন থেকে প্রচুর পর্ন ভিডিয়ো মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ২০১৯ সালে সিভিক ভলান্টিয়রের চাকরি পেয়েছিলেন। ধৃত সঞ্জয় এতটাই প্রভাবশালী ছিল যে একদিনও কাজ না করে সে চলে যায় ওয়েলফেয়ার কমিটিতে। অভিযোগ, সেখান থেকেই নিয়ম ভাঙতে শুরু করে পুলিশের ব্যারাকে। এখানেই শেষ নয়, মাঝে-মধ্যেই পুলিশ বাহিনীর মহিলাদের ফোন করে উত্যক্ত করতেন বলে অভিযোগ।
জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন রাত্রিবেলা নীরজ চোপড়ার খেলা দেখেছিলেন নির্যাতিতা। খাওয়া-দাওয়া সারেন। তারপর বাকিরা চলে যেতেই সেমিনার হলে ঘুমিয়ে পড়েন ওই মহিলা চিকিৎসক। রাত্রি তিনটের পর ঘটে নৃশংস ঘটনা। পুলিশ জানতে পেরেছে অভিযুক্ত মদ্যপ অবস্থায় হাসপাতালে ঢোকে। সাড়ে চারটের পর বেরিয়ে যায় সে। তারপরও মদ্যপান করে। সূত্রের খবর, তিন থেকে চারজনকে ওইদিন সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল। সেখান থেকে উদ্ধার হয় একটি হেডফোন। নির্যাতিতার পরিবার জানায় ওই হেডফোন তাঁদের মেয়ের নয়। এরপর ব্লু-টুথ কানেক্ট করেই নিশ্চিত হয় পুলিশ।