পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলকে আইনি চিঠি শান্তনুর

এবার পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলকে আইনি চিঠি শান্তনু সেনের। তাঁর রেজিস্ট্রেশন ২ বছরের জন্য বাতিল করা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশের পরও পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিলের অর্ডার রয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে এই আইনি নোটিস পাঠালেন শান্তনু। এর পাশাপাশি এ ব্যাপারে  তিনি সরব হয়েছেন সমাজমাধ্যমেও। আর সেখানেই তিনি প্রশ্ন তোলেন ওয়েবসাইট থেকে সাসপেনশনের নির্দেশ না সরানো আদালত অবমাননা কি না তা নিয়ে। একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধেও সরব হন। এই প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায়ের প্রতিহিংসাপরায়ণতার আর একটি উদাহরণ। হাইকোর্টের রায় পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল ও তাঁর সভাপতিকে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী ও আমার আইনজীবীরা।’

প্রসঙ্গত, এফআরসিপি গ্লাসগোনামে একটি বিদেশি ডিগ্রি অবৈধভাবে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে। আর ওই অভিযোগেই পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল তাঁর রেজিস্ট্রেশন ২ বছরের জন্য বাতিল করে। একইসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়,  ২ বছরের জন্য ডাক্তারি করতে পারবেন না শান্তনু সেন।

এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে সরব হন শান্তনু। সুদীপ্ত রায় তৃণমূল বিধায়কও। আবার শান্তনু তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ। যদিও আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে মুখ খোলার পর তৃণমূল শান্তনুকে দল থেকে সাসপেন্ড করে। এরপই সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলে সরব হন শান্তনু। একইসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হন তিনি।

এরপর হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি শেষে গত ৭ জুলাই  পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এরপরও কেটে গিয়েছে ১১ দিন। তারপরও পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিলের নির্দেশ রয়ে গিয়েছে জানিয়ে আইনি নোটিস পাঠালেন শান্তনু।  এই প্রসঙ্গে শান্তনু জানান, তিনি নিজে এ ব্যাপারে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলকে। এরপরও ২৫২ ঘণ্টা কেটে গেলেও পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে আমার রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত জ্বলজ্বল করছে। আর এখানেই শান্তনুর প্রশ্ন,  এটা  আদালত অবমাননা কি ন তা নিয়েও। বিষয়টি তাঁর আইনজীবীরা দেখছেন বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 3 =