ইলেকটোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ড নিয়ে বিপাকে এসবিআই। কারণ, সূত্রে খবর মিলছে সুপ্রিম কোর্টের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও ইলেকটোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য জমা দেয়নি স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। অন্যদিকে শীর্ষ আদালতের কাছে অতিরিক্ত সময়ের আবেদন জানানো হয়েছে ব্যাঙ্কের তরফ থেকে। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ অমান্য করাতেই এবার এসবিআই-র বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করল একটি বেসরকারি সংস্থা।
সূত্রে খবর মিলছে, বৃহস্পতিবার অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রাটিক রিফর্ম অর্থাৎ এডিআরের তরফ থেকে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। প্রসঙ্গত, এই সংস্থা রাজনীতি নিয়েই কাজ করে, রাজনৈতিক দলগুলির নানা তথ্য প্রকাশ করে। সুপ্রিম কোর্টে এসবিআইয়ের বিরুদ্ধে যে পিটিশন জমা করেছে এডিআর, তাতে বলা হয়েছে, ‘এসবিআই ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চের রায় অমান্য করেছে। এটা শুধুমাত্র নাগরিকদের তথ্য জানার অধিকারকেই অমান্য করা হচ্ছে না, একইসঙ্গে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকেও ইচ্ছাকৃতভাবে অগ্রাহ্য করা হয়েছে।’
এদিকে এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে বিষয়টি উল্লেখ করেন এডিআর-এর আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে এ বিষয়ে ইমেইল মারফত আবেদন করার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত মামলায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট ঐতিহাসিক রায়ে নির্বাচনী বন্ড-কে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করে এবং নির্বাচনী বন্ড বাতিল করে দেয়। একইসঙ্গে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অবধি নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জমা দিতে বলা হয়। ৬ মার্চের মধ্য়েই এই তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছিল। এদিকে চলতি সপ্তাহের সোমবারই এসবিআই সুপ্রিম কোর্টে নির্ধারিত সময়ের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন জানানো হয় এসবিআই-র তরফে। এই আবেদনের শুনানি আগামী সোমবার। এদিকে স্টেট ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১৫ এপ্রিলের মধ্যে মোট ২২ হাজার ২১৭টি ইলেকটোরাল বন্ড ইস্যু করা হয়েছে। বন্ড কেনার যাবতীয় তথ্য, যেমন বন্ডের ক্রেতা, কোন দলে অনুদান দেওয়া হল, সেই সংক্রান্ত তথ্য নির্দিষ্ট কোনও একটি ব্রাঞ্চে নেই। ফলে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য পেশ করার জন্য সময়ের প্রয়োজন।