প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সামনে আসছে একের পর অভিযোগ। অভিযোগে পাহাড় জমছে বললে অত্যুক্তি হবে না। এবার এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ক্লার্ক পদে নিয়োগ নিয়েও অভিযোগ। ফলে সব দিক থেকে অস্বস্তি বেড়েই চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। এবার সামনে এল যে অভিযোগ তাতে নজরে আসছে, নিয়োগের পরীক্ষা হলেও প্রকাশ হয়নি প্যানেল। আর সেই জন্যই দুজন প্রার্থী চাকরি পাওয়া সত্ত্বেও বঞ্চিত হয়েছেন। এই মামলায় পূর্ব বর্ধমানের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে মোটা অঙ্কের জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়। এদিকে সূত্রে খবর, এই দুই প্রার্থী আরটিআই করে জানতে পারেন, তাঁদের নাম ছিল প্যানেলে।
আদালত সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে পূর্ব বর্ধমানে প্রাথমিকে লোয়ার ডিভিশন ক্লার্কের পরীক্ষা দিয়েছিলেন দুই মামলাকারী। প্যানেল প্রকাশ না হওয়ায় তাঁর বুঝতে পারেননি যে তাঁদের চাকরি হয়েছে কি না। ফলাফল জানতে না পেরে ওই দুজন দুটি আরটিআই করেন। তাঁরা জানতে পারেন, প্যানেলের প্রথমেই নাম ছিল তাঁদের। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ায় চাকরি হয়নি। এরপর মামলা করেন তাঁরা। বুধবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। এই মামালার শুনানিতে কেন প্যানেল প্রকাশ করা হল না, সে ব্যাপারে প্রাক্তন চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট। হলফনামাও দিতে বলা হয় প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে। এরপর যে হলফনামা প্রাক্তন চেয়ারম্যানের তরফ থেকে জমা দেওযা হয় তা দেখে মোটেই সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, নথিপত্র ঠিক না থাকায় প্যানেল প্রকাশ করা যায়নি। এরপরই তিনি নির্দেশ দেন, দুই মামলাকারীকে পাঁচ লক্ষ করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। টাকা দিতে না পারলে প্রাক্তন আধিকারিক অচিন্ত্য চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে বলেও প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আগামী ২৪ অগাস্ট রয়েছে মামলার পরবর্তী শুনানি। শুধু তাই নয়, অচিন্ত্য চক্রবর্তীর সম্পত্তির পরিমান কত, সেটাও হলফনামায় জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।