তফসিলিদের মন্দিরে ঢুকতে মানা, বিরক্ত বিচারপতি

তফসিলি জাতির লোক বলে শিব মন্দিরে ঢুকতে পারছেন না, এমনই অভিযোগ উঠেছে নদিয়ায়। আর এমন ঘটনা জানতে পেরে বিরক্ত বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। পাশাপাশি এই ক্ষেত্রেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে  বিচারপতি জানতে চান, বাংলার বুকে এমন পরিস্থিতি কেন তৈরি হবে তা নিয়েও।

সূত্রে খবর, নদিয়ার বৈরামপুরে কালীগঞ্জ থানা এলাকায় একটি প্রাচীন শিব মন্দির রয়েছে। এলাকাবাসীদের একাংশ অভিযোগ করেন, তফসিলি জাতির লোক হওয়ায় সেই শিব মন্দির ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে ওই মন্দিরটি যে সাধারণের ব্যবহারের জন্য রয়েছে, সেই নথি রয়েছে। কিন্তু এলাকার ধোপা সম্প্রদায়ের লোকজনকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তাঁরা গাজনে অংশ নিতে চান। সৃজন হাঁসদা নামে এক ব্যক্তি এই মামলা করেছেন। জেলা প্রশাসন মীমাংসা করে নিতে বলেছিল বিষয়টি। আগামী গাজনের মেলায় সন্ন্যাসী হতে চান ও শিব মন্দিরে ঢোকার অনুমতি চান ওই তফসিলি জাতির বাসিন্দারা।

এই অভিযোগ নিয়েই মামলা হয় হাইকোর্টে। সোমবার সেই অভিযোগ শুনে চরম বিরক্ত বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এরপরই  এমনটা কী করে ঘটা সম্ভব তা জানতে চান বিচারপতি। সঙ্গে প্রশ্ন করেন, পুলিশের ভূমিকা কী তা নিয়েও। এরপরই বিচারপতির পর্যবেক্ষেণ, ‘একটা মানুষ তার অধিকার পাবে না! এটা তো বাংলায় ছিল না। এমন সমস্যা এখনও বাংলায় নেই এটা বিশ্বাস করি। কেন তারা উৎসবে যোগ দিতে পারবে না! কীসের ইগো? তাহলে পুলিশ কী করছে?’ পাশাপাশি তিনি এও জানান, পুলিশের অক্ষমতাই এর একমাত্র কারণ বলে দাবি করেছেন বিচারপতি ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আবারও বলছি এই সমস্যা বাংলায় ছিল না। তাহলে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে এটা পুলিশের অক্ষমতা।’ ওসি নয়, কোনও সিনিয়র অফিসারকে দায়িত্ব নিতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি। হাইকোর্টের নির্দেশ, এই ঘটনার পিছনে যদি অন্য কোনও কারণ থাকে, তাহলে সেটাও খুঁজে দেখা পুলিশের কাজ। সব খতিয়ে দেখে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়া নির্দেশ দেয় আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × two =