১১-এ সিট আগেও বাঁচিয়েছে বিমানযাত্রীকে! জানালেন থাইল্যান্ডের জনপ্রিয় গায়ক-অভিনেতা  রুয়ংসাক 

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত সবাই। জীবিত মাত্র একজনই।  বিশ্বাস রমেশ  কুমার নামে এক ব্যক্তি ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনা থেকে একাই বেঁচে ফিরেছেন। বর্তমানে তিনি সিভিল হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন। এটা অলৌকিক বললেও হয়তো কম বলা হয়।
পাশাপাশি এও জানা গেছে, ব্রিটিশ নাগরিক রমেশ বিমানের বাঁদিকে জরুরি দরজার পাশে ১১-এ সিটে বসেছিলেন। আহমেদাবাদে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা বিশ্ব। এরই মধ্যে এই ঘটনা জানার পরই থাইল্যান্ডের এক জনপ্রিয় গায়ক-অভিনেতা নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা শেয়ার করেন। এটিও কম অপ্রত্যাশিত ঘটনা নয়। তিনি জানান, ২৭ বছর আগে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। দিনটা ছিল ১৯৯৮ সালের ১১ ডিসেম্বর। থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইট টিজি-২৬১দক্ষিণ থাইল্যান্ডে অবতরণের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জলে পড়ে যায়। ওই দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ১৪৬ জনের মধ্যে ১০১ জন মারা যান। যাদের মধ্যে ২০ বছর বয়সের রুয়ংসাক লইচুসাক মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন। এখন রুয়ংসাকের বয়স ৪৭। অদ্ভুত ঘটনা হল, রুয়ংসাকও সেই সময় এয়ার ইন্ডিয়ার ১১-এ সিটেই বসেছিলেন। এই প্রসঙ্গ টেনেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় থাই ভাষায় লেখেন, ‘ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে গিয়েছেন মাত্র এক ব্যক্তি। তিনি আমার মতই একই আসন ১১-এ তে বসেছিলেন।’
রুয়ংসাক আরও জানান, ১৯৯৮ সালের সেই বোর্ডিং পাসটি এখন আর তাঁর কাছে নেই। তবে বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে তাঁর সিট নম্বর ও বেঁচে যাওয়ার তথ্য নথিভুক্ত রয়েছে। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার পর তিনি  সংবাদ মাধ্যমে এও জানিয়েছিলেন যে দুর্ঘটনার জন্য তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। সঙ্গে এবার এও জানান, ঘটনার পর থেকে তিনি প্রায় এক দশক কোনও বিমানে চড়েননি।
আর এই ঘটনাকে রুয়ংসাক  ‘দ্বিতীয় জীবন’ হিসাবে পেয়েছেন বলে ব্যাখ্যা করেন। তবে এর পাশাপাশি আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, এই ১১-এ সিট অলৌকিকভাবে যাত্রীদের কীভাবে রক্ষা করছে তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এদিকে আহমেদাবাদের দুর্ঘটনায় রমেশ একাই বেঁচে নিজের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে জানান, ‘না, আমি ঝাঁপ মারিনি। বিমান ওড়ার মাত্র ৩০ সেকেন্ড পর একটা প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পেয়েছিলাম। তার পরেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। সব কিছু খুব দ্রুত ঘটে গিয়েছিল। যখন আমি উঠে দাঁড়ালাম, তখন আমার চারপাশে শুধু লাশ আর লাশ। খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। উঠে দাঁড়িয়ে দৌড়তে শুরু করলাম। চারপাশে বিমানের টুকরো। তখনই কেউ একজন আমাকে ধরে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুকে চোট পেয়েছেন রমেশকুমার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 3 =