মাধ্যমিকের নম্বর এবার জমা দেওয়া হবে অনলাইনে। আর তারই জন্য অনলাইন ব্যবস্থাও চালু করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, মাধ্যমিকের মূল্যায়ন প্রক্রিয়াকে সরল ও ত্বরান্বিত করতে ধাপে ধাপে অনলাইনের পথে হাঁটতে শুরু করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তারই অংশ হিসাবে ২০২৩ সালের অনলাইনে নম্বর যাচাই প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছিল। এবার নম্বর জমা দেওয়ার অনলাইন ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে পরীক্ষা-মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার ডিজিটালাইজেশনের পথে আরও এক ধাপ এগোল পর্ষদ। এদিকে এই নয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে। যেখানে বলা হয়েছে, এবারের সব বিষয়ের নম্বর জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া হবে অনলাইনে। সঙ্গে এও বলা হয়েছে,
অনলাইনের পাশাপাশি গত বছরের মতো হার্ডকপিতেও নম্বর জমা দিতে হবে প্রধান পরীক্ষকদের। শুরুতে নতুন এই ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত হতে সমস্যার সামনে পড়তেই পারেন প্রধান পরীক্ষকরা। সে কথা মাথায় রেখে তাঁদের স্ক্রুটিনিয়ারদের সাহায্য নিতে বলা হয়েছে পর্ষদের তরফে। অনলাইনে নম্বর জমা দিতে গেলে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে তা ভিডিও প্রদর্শনীর মাধ্যমে বোঝানো হবে প্রধান পরীক্ষকদের। পাশাপাশি, নতুন এই ব্যবস্থা সম্পর্কে উৎসাহ দিতে প্রধান পরীক্ষকদের নির্ধারিত সাম্মানিকের সঙ্গে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণাও করা হয়েছে পর্ষদের তরফ থেকে। এরই পাশাপাশি পর্ষদের তরফ থেকে যা জানানো হয়েছে তাতে এই ব্যবস্থায় উত্তরপত্র মূল্যায়ণ করার পর পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর প্রধান পরীক্ষকদের জমা দিতে হবে অনলাইনেই।
এই প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ‘আমরা চাইছি, গোটা প্রক্রিয়াটি আরও কার্যকরী ও দ্রুততার সঙ্গে হোক। সঙ্গে বাড়ুক দায়বদ্ধতাও।’ আর এই উদ্দেশ্যেই যে এই বিশেষ পদক্ষেপ তাও মনে করিয়ে দেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর থেকেই উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর জমা দেওয়ার অনলাইন ব্যবস্থা চালু করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এই ব্যবস্থায় পরীক্ষার্থীদের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর অনলাইনে জমা দিচ্ছে স্কুল। থিয়োরিতে প্রাপ্ত নম্বর অনলাইনে জমা করবেন প্রধান পরীক্ষকরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সক্রিয় হবে নম্বর জমা দেওয়ার পোর্টালটি।