বুধবার আবারও নতুন করে ভাঙড়ে জারি হল ১৪৪ ধারা। রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার থেকে ১৩ তারিখের মধ্যরাত পর্যন্ত এই ১৪৪ ধারা বলবৎ করা হয়েছে। বারুইপুর জেলা পুলিশের তরফ থেকে এই নির্দেশ জারি করা হয়। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আগে ভাঙড়ের ২ নম্বর ব্লকে ফের জারি হল ১৪৪ ধারা। সূত্রে খবর, বুধবার গ্রাম পঞ্চায়েত ও ১২ অগাস্ট পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন। তার আগে ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের শানপুকুর, পোলেরহাট ১ এবং ২, ভোগালি ১ ও ২, চালতাবেড়িয়া ও ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। কারণ, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। ভাঙড়ের একাধিক জায়গায় শাসকবিরোধী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। কার্যত এক অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় ভাঙড় জুড়ে। শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে এই এলাকাগুলিতে তাণ্ডব চলে। খুন,গুলি-বোমাবাজি,পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ,ভোট লুঠ, ব্যালট ছিনতাই- কী ঘটেনি এখানে সেটাই বড় প্রশ্ন। এই ঘটনায় ৭জনের মৃত্যুও হয়। যার মধ্যে রয়েছে তৃণণূল এবং আইএসএফ কর্মী সহ ভাঙড়ের সাধারণ বাসিন্দাও।
তার প্রেক্ষিতেই এবার পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আগে যাতে না উত্তেজনা না ছাড়ায় সেই জন্য আগেভাগে ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, সকাল থেকেই এলাকায় টহল দিচ্ছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। কোনও ভাবেই জমায়েত করতে দেওয়া হচ্ছে না ভাঙড়ের কোথাও-ই। কোনও জমায়েত দেখলেই সেখানে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করে জমায়েত সরিয়ে দিচ্ছে। প্রসঙ্গত,পঞ্চায়েত ভোট গণনার রাতে অশান্তির জেরে গোটা ভাঙড় জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। সেই ঘটনার পর নওশাদ সিদ্দিকি থেকে শুরু করে শওকত মোল্লা কাউকেই কাশীপুর থানা চত্বরে ঢুকতে দেননি পুলিশকর্মীরা। তবে ১৪৪ উঠে গেলে দুই বিধায়কই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করে। কিন্তু সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও কাশীপুর থানা এলাকা জুড়ে জারি হল ১৪৪। পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনে কেউ যাতে অশান্তি না পাকাতে পারে সেই কারণেই এই ১৪৪ বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন ভাঙড়ে বেশ কিছু থানা কলকাতা পুলিশের অধীনস্থ করার জন্য। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে সেই প্রক্রিয়ায় এখনও পর্যন্ত সুসম্পন্ন হয়নি। ভাঙড়ে যাতে না নতুন করে অশান্তি না সেই জন্য আগে থেকেই পুলিশি নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে।