কলকাতায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের অফিসের সামনে বাড়ল নিরাপত্তা। লালবাজার সূত্রে খবর, বাংলাদেশ হাই কমিশনের অফিসের সামনে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট পদমর্যাদার আধিকারিক-সহ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিনের তুলনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এর পাশাপাশি অন্তত ১৫-২০ জন পুলিশ কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছেন মহিলা পুলিশ কর্মীও। বাংলাদেশ হাই কমিশনের অফিসের সামনে যাতে কেউ অশান্তি করতে না পারেন তার জন্য আঁটসাঁটো করা হয়েছে সার্বিক নিরাপত্তাও।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত মাস থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত বাংলাদেশ। রবিবার থেকে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে। আন্দোলনের আগুন কার্যত দাবানলে পরিণত হয়। সোমবার তা আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে যায় যে চাপের মুখে নতিস্বীকার করেন শেখ হাসিনা। পদত্যাগ করেই বাংলাদেশ ছাড়েন। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেন সেনাপ্রধান। শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর সুযোগ বুঝে আন্দোলনকারীদের সেখানে কার্যত লুটতরাজ চালায়। দিনভর দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পদ্মাপাড়।
তবে বাংলাদেশ থেকে প্রাপ্ত খবর অনুসারে, মঙ্গলবার সকাল থেকে খুলেছে স্কুল-কলেজ। কিন্তু পঠনপাঠন এখনও স্বাভাবিক হয়নি। তবে অফিস-আদালত খুলেছে। সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় খোলে ব্যাঙ্কও। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকে ওপার বাংলায় নতুন করে কোনও অশান্তি তৈরি হয়নি।
এদিকে হাসিনা সরকারের পতনের পর আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা সাফ জানিয়েছেন, সেনাশাসন মানবেন না তাঁরা। চান, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত হোক বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিনের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গড়ার আবেদন জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার ঘোষণা হতে পারে নতুন সরকার।