আরজি কর–কাণ্ডে বিশেষ টিম গঠন করেছে সিবিআই। উচ্চপদস্থ অফিসারদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে সেই টিম। গত কয়েকদিন ধরে তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরুও করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এবার সেই মামলায় দায়িত্ব দেওয়া হল সিবিআই আধিকারিক সীমা পাহুজাকে। হাথরাস–কাণ্ডের সময় সীমা পাহুজা ছিলেন উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের সিবিআই ইউনিটের দুর্নীতি দমন ব্যুরো অর্থাৎ এসিবি–তে কর্মরত। তিনি ছিলেন ডেপুটি পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসার। ওই ব্যুরোতে প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুলিশ মেডেলসহ একাধিক সম্মান পেয়েছেন তিনি। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় তদন্ত করে সত্যি সামনে এনেছেন তিনি। ২০১৪ সালের ১৫ অগস্ট পুলিশ পদক পেয়েছিলেন সীমা পাহুজা। সিবিআই–এর স্পেশাল ক্রাইম ইউনিট–১–এ বহু বছর কাজ করেছেন তিনি।
২০২০ সালে উত্তর প্রদেশের হাথরাসে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। সেই সময় সীমা পাহুজার নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়। শোনা যায়, সিবিআই অফিসার সীমা পাহুজার হাতে মামলা হস্তান্তর করলে সেই মামলায় অভিযুক্তরা ধরা পড়েন। হিমাচল প্রদেশের গুড়িয়া মামলাতেও দায়িত্বে ছিলেন ওই সীমা পাহুজা। এক শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল এই মামলায়। সিবিআই–এর অন্দরে সৎ ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি রয়েছে সীমা পাহুজার। এবার আরজি করের মামলাতেও আসল সত্যিটা তাঁর হাত ধরে বেরিয়ে আসবে কি না, সেই দিকেই তাকিয়ে সব মহল।