দমদম পুরসভায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মনজেন্দ্র দত্ত রোডের বাসিন্দার ওই কিশোরীর মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, বৈদ্যনাথ গার্লস হাইস্কুলের বছর ১৩-র ওই ছাত্রীর ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গুর কথা উল্লেখ রয়েছে।
পরিবার সূত্রে খবর, গত ১৯ জুন কলকাতার তপসিয়া এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল এই নাবালিকা। এরপর শনিবার সকাল ৫টা বেজে ৪৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর। এদিকে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে দমদমে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দুই। মৃতের মা গীতিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’প্রথমে আমাদের ওইখানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা ভাল হয়নি। এরপর অবস্থা আরও খারাপ হতে অন্য এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর জানানো হয় ওকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হবে। কিন্তু ওখানে বাচ্চাদের জন্য ভেন্টিলেশন না থাকায় ওই হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরপর আইডি-তে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা হলেও শরীরের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে মাঝ রাস্তায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে ভাল পরিষেবা দিচ্ছিল। কিন্তু ডাক্তাররা বললেন, মেয়ের ফুসফুসে জল জমেছে। সেইটা আগের বেসরকারি হাসপাতাল নজর দেয়নি। এই হাসপাতাল কিন্তু সেই চিকিৎসা শুরু করেছিল। তবে পুরো জলটা ফুসফুস থেকে বের করতে পারেননি। সেই কারণে শ্বাসকষ্ট প্রবল হচ্ছিল। এরপর শনিবার সব শেষ। ‘
এই ঘটনায় দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান হরেন্দ্র সিং বলেন,’যে কোনও মৃত্যুই দুঃখের। আমরা খবর পাওয়ার পরই দেখছিলাম পরীক্ষা করে। কিন্তু মশার লার্ভা পাইনি। ওরা দিঘা ঘুরতে গিয়েছিল শুনলাম। এখন কোথা থেকে মশা কামড়াল দেখতে হবে।’