বৃহস্পতিবার রাতে ইএম বাইপাসের উপর তরুণীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় উঠে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাবার গাড়ি জিপিএস অন করে তার পিছু নিয়েই ওই তরুণীর উপর হামলা চালায় ছেলে। আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে আগে থেকেই ফারাক আনসারির উপর নজর রাখা হচ্ছিল কি না তা নিয়ে।
এদিকে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতা তরুণী রোফিয়া শাকিল রাজারহাট এলাকার একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন। আগে তাঁর পরিবার মধ্য কলকাতার নারকেলডাঙা এলাকায় থাকতেন। কিন্তু এখন রাজারহাটের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। তিনি বিবাহিত বলেও জানা গিয়েছে। কিভাবে রোফিয়ার সঙ্গে ফারাক আনসারির আলাপ হল তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীররা। সঙ্গে এও দেখা হচ্ছে, স্যোশাল মিডিয়া নাকি অন্য কোনও সূত্রে দুজনের পরিচয় কি না সে ব্যাপারেও।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বছর চব্বিশের ওই তরুণী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিদার বাড়িতে দেখা করার নাম করে বেরিয়েছিলেন। যদিও তিনি সেখানে যাননি। পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে গাড়িতে তিনি বাইপাসের রাস্তা ধরতে যাচ্ছিলেন। সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির গাড়িতে জিপিএস অন ছিল। এদিকে ওই ব্যক্তির নাবালক ছেলের ফোনের সঙ্গে ওই গাড়ির জিপিএস ম্যাচ করানো ছিল। আর এ ভাবেই জিপিএসের মাধ্যমেই গাড়ির গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছিল। সঙ্গে ফোনও ট্র্যাক করা হচ্ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হামলার ঘটনা দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ফারাক ও রোফিয়ার উপর আগে থেকেই নজর রাখা হয়ে থাকতে পারে। এই সম্পর্কের বিষয় নিয়ে ফারাকের পরিবারেও অশান্তি আগে থেকে হতে পারে। সেখান থেকে হাতেনাতে দুজনকে ধরার ফন্দি আঁটা হয় বলেই মনে করেছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে বাইপাস ধাবার সামনে তরুণী রোফিয়া শাকিলের উপর হামলা হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে গলার নলি-সহ একাধিকবার কোপ দেওয়া হয়। রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও শেষরক্ষা হয়নি। গভীর রাতে তিনি মারা যান।