২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠল সন্দেশখালি ইস্যু। উত্তর ২৪ পরগনার প্রান্তিক গ্রামের এই নৈরাজ্যের আঁচ পড়েছে দিল্লিতেও। সন্দেশখালির ঘটনা এবার মুখ খুলতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে। শনিবার থেকে শুরু হওয়া বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে চূড়ান্ত আক্রমণ শাহর।
লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে বেশ কিছুটা জায়গা করে নিল সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। এই অধিবেশনে অমিত শাহ জানান, স্বাধীন ভারতে এত হৃদয় বিদারক ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। তাঁর মতে, এই ঘটনা শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের লজ্জা নয়, গোটা মানবজাতির লজ্জা।এখানেই শেষ নয়, সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকেও একহাত নেন শাহ। বিরোধীদের বিদ্ধ করে শাহ অধিবেশন থেকে জানান, ‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। হিংসা ছড়িয়ে সেখানে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ইন্ডিয়া জোটের দলগুলো হিংসার রাজনীতি করছে।’ ইন্ডিয়া জোটের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে একাধিকবার তাঁর মুখে উঠে আসে সন্দেশখালির ঘটনার কথা উঠে আসে। এদিকে ইতিমধ্যে রাজ্যে সন্দেশখালির ঘটনা তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি। রবিবার উত্তর কলকাতায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে করা হয় ছোট পথসভাও।
প্রসঙ্গত, বিজেপি কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার পাঠানো কেন্দ্রীয় পরিদর্শক সন্দেশখালি ঢুকতে গিয়েও বাধা প্রাপ্ত হয়।এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজেও দুইবার পুলিশি বাধার মুকে পড়ে পৌঁছাতেই পারেননি সন্দেশখালি। অবশেষে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সোমবার এই মামলার শুনানি রয়েছে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও কখনও সড়ক পথে, কখনও রেলপথে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেন সুকান্ত। গত বুধবার টাকিতে আন্দোলনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এরমধ্যেই বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সন্দেশখালি নিয়ে আক্রমণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসতে পারেন অমিত শাহ। রাজ্য সফরে এসেও তিনি এই বিষয়ে শাসকদলকে যে বিদ্ধ করবেন এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।