২৯ ফেব্রুয়ারি ফের শাহজাহানের ডাক পড়েছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের তরফ থেকে। এই নিয়ে চার বার। কিন্তু একবারও ইডির ডাকে সাড়া দিলেন না সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা। অন্যদিকে তাঁর আইনজীবী ছুটেছেন আদালতে। মক্কেলের আগাম জামিনের প্রয়োজন। কিন্তু, অবশেষে তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। শুক্রবার ইডির বিশেষ আদালতে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের আগাম জামিন মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই দীর্ঘ শুনানির পর শাহজাহানের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় কোর্ট।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, তদন্তে দেখা গিয়েছে এই মামলার অন্যতম অভিযুক্তের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে শাহজাহানের। অভিযানের দিন শাহজাহানকে ইডির তরফে ফোন করা হয়েছিল। উনি ফোন ধরেননি। ওনার আরও একটি নম্বরে ফোন করে ব্যস্ত পাওয়া যায়। পরে বিপুল সংখ্যক গ্রামবাসী জড়ো হয়ে এবং ইডি অফিসারদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে তাঁকে তদন্তের স্বার্থে ডাকা হয়। কিন্তু, তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন। কোর্ট মনে করছে তিনি সহযোগিতা করছেন না। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। কিছু মামলায় তিনি ফেরারও আছেন। যার ফলে মানি লন্ডারিং কেসে তদন্তের স্বার্থে তাঁকে ইডির হেফাজত নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে আদালত।
এদিকে এদিন আবার শুনানিতে ইডির আইনজীবীর মুখে শাহজাহান নিয়ে নতুন আশঙ্কার কথা শোনা গিয়েছে। তাঁর আশঙ্কা জামিন পেলে লন্ডন চলে যেতে পারেন তিনি। ইডির তরফে আইনজীবী জানান, আগাম জামিনের বিরোধিতা করা হচ্ছে কারণ, জামিন পেলে যদি লন্ডনে চলে যান, তাহলে মামলা ভেস্তে যেতে পারে। অন্যদিকে শাহজাহানের আইনজীবী বলছেন, তদন্তে সহযোগিতার কথা। পাল্টা ইডির আইনজীবী শাহজাহানের বিরুদ্ধে খুন, বেআইনি জমায়েত, সরকারি কর্মীকে মারধর ও কাজে বাধা দেওয়া নিয়ে যে মামলা গুলি রয়েছে সেগুলির কথা বলা হয় শুনানিতে।