বৃহস্পতিবার রাত্রিবেলা মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। গ্রেফতার হন তাঁর এক সাগরেদ ‘আমির আলি’ও। এদিকে ইডি-র উপর হামলার ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। রাজ্য গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর, আমির আলিকে জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন ৫ জানুয়ারি ইডি-র উপর হামলার পর সন্দেশখালির আকুঞ্জিপাড়ায় এক সপ্তাহ গা ঢাকা দিয়েছিলেন শাহজাহান। পরিস্থিতি জটিল হতেই এলাকা ছাড়েন তিনি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালি নিয়ে যখন বিরোধী দল থেকে শুরু করে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করেন তখন তিনি ডেরা পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নেন। এরপর শিবু হাজরার সাহায্যে সন্দেশখালি-১ এর দিকে চলে যান। সেখানেই শিবুর বিভিন্ন অনুগামীদের বাড়িতে তিনি আশ্রয় নেন। এই সময় তিনি মণিপুর গ্রাম থেকে শুরু করে ঝুপখালি, ভোলাখালি, ধুচনিখালির মতো দ্বীপাঞ্চলের মতো জায়গায় গা ঢাকা দেন।
তবে ঝুপখালিতে থাকাকালীন তাঁর নজরে আসে তাঁর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন এলাকাবাসী। এরপর বিক্ষোভের আঁচ বাড়তেই ভোলাখালি, ছোট মোল্লাখালি, ধুচনিখালি, ভাঙ্গা তুষখালি, সুখদোয়ানি, ছোট মোল্লাখালির মতো প্রত্যন্ত দ্বীপাঞ্চলে পালিয়ে যান। সেখানেই তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন। তদন্তে গোয়েন্দারা এও জানতে পেরেছেন, শাহজাহান নিজের এই ডেরা বদলানোর সব খবর তাঁর ভাই সিরাজউদ্দিন শেখকে দিতেন। অর্থাৎ সিরাজের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। তাঁর মাধ্যমেই পরিবারের খোঁজ খবর নিতেন শাহজাহান। ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের মোবাইল ব্যবহার করে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি শাহজাহান। তদন্তকারীরা এও জানতে পেরেছেন, শিবু হাজরা গ্রেফতারের পরে কয়েকদিন ঝুপখালিতেও ছিলেন তিনি।