সন্দেশখালিতে ২ বিজেপি নেতা খুন ও ১ জন ৬ বছর নিখোঁজ থাকার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ফের এই মামলায় বড় ধাক্কা শেখ শাহজাহানে’র। সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের আবেদনের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে সন্দেশখালির তিন বিজেপি কর্মীর খুনের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ বহাল রাখল বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ। সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের আবেদনের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে সোমবার জানাল কলকাতা হাইকোর্ট।
গত ৩০ জুন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সিবিআই–এর যুগ্ম অধিকর্তাকে সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন শেখ শাহজাহান। ২০১৯ সালের ৮ জুন খুন হন বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডল। নিখোঁজ দেবদাস মণ্ডল। যদিও পরিবারের অভিযোগ, দেবদাসকেও খুন করা হয়েছে। এই খুনের অভিযোগ ছিল শেখ শাহজাহান এবং তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে।এই অভিযোগকে সামনে রেখেই আদালতের দ্বারস্থ হন প্রদীপ মণ্ডলের স্ত্রী পদ্মা এবং দেবদাসের স্ত্রী সুপ্রিয়া মণ্ডল গায়েন।
সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায় মোতাবেক অভিযুক্তের এই আবেদনের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাই সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ নয়। অর্থাত্ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের তদন্তের নির্দেশের রায়ই বজায় রইল।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ জুন সন্দেশখালির বাসিন্দা প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডলকে হত্যা করা হয়। ওই তিনজন এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, এই খুনের মামলায় প্রথমে চার্জশিটে নাম ছিল শাহজাহানের। পরে মামলার তদন্তভার সিআইডি–র হাতে যাওয়ার পর শাহজাহানের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে একটি খুনের ঘটনাতেও শাহজাহানের নাম চার্জশিটে ছিল। কিন্তু সেবার তিনি জামিন পেয়ে যান।