ইডি-সিবিআইয়ের বিভিন্ন দুর্নীতির ঘটনায় ভূমিকা নিয়ে আগেই সুর চড়িয়েছিলেন শমীক ভট্টাচার্য, শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতারা। এবার একই সুর শোনা গেল শঙ্কর ঘোষের গলাতেও। শঙ্কর ঘোষেরও বক্তব্য, ‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ইডি-সিবিআইকে আরও তৎপর দেখতে চায়। কোর্টের তত্ত্বাবধানে চলা তদন্তে ইডি-সিবিআই যে ইতিবাচক ভূমিকা নিচ্ছে তা দেখতে চায় বাংলার মানুষ।’ একইসঙ্গে শঙ্কর এও জানান, যতক্ষণ না এটা সন্তুষ্টির জায়গায় পৌঁছাচ্ছে ততক্ষণ এটা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয় বলেই মনে করছি।
এর আগে ইডি-সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছিল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ‘ইডি-র আধিকারিকেরা অসম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এটা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি। তাঁদের আরও সিরিয়াস হওয়া উচিত। আরও তৎপরতার সঙ্গে তদন্তকে গুটিয়ে আনা দরকার।’ ইডি-সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন শমীক ভট্টাচার্যও। বলেছিলেন, ‘ওদের তদন্তে আমরা সন্তুষ্ট নই। দীর্ঘদিন ধরে এই তদন্ত চলছে। তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতায় পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিরক্ত। আমরাও বিরক্ত উত্তর দিতে দিতে। দ্রুত এই তদন্ত শেষ করা উচিত।’
তবে এক্ষেত্রে পাল্টা খোঁচা দিতে দেখা যায় তৃণমূলকেও। তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে তদন্ত হচ্ছে, নিরপেক্ষতার চালচুলো নেই। শুধু বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ন্যারেটিভ তৈরির চেষ্টা চলেছে। সে ক্ষেত্রে এরকম তো হবেই। তদন্ত শেষ করলেই তাঁদের সমস্ত জারিজুরি শেষ যাবে। তদন্তে কী বের হবে তা নিয়ে তদন্তকারী সংস্থারই সন্দেহ আছে। তাই তদন্ত যে দীর্ঘসূত্রি হবে কোনও অভিমুখ থাকবে না সেটাই স্বাভাবিক।’ সঙ্গে এও জানান, ‘বিজেপি ওদের নখ-দাঁত ভেঙে দিয়ে অসহায় করে দিয়েছে। এখন তাঁদেরই ওই জন্য উল্টো কথা বলতে হচ্ছে। যদিও মোদি থাকতে কারও উপর আস্থা রাখা যাবে না। মোদি সংবিধান নষ্ট করেছে, লোকসভার গরিমা নষ্ট করেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা নষ্ট করে দিয়েছে।’