তৃণমূলে যোগ দিলেন দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি শংকর মালাকার। বুধবার দুপুরে কলকাতার তৃণমূল ভবনে তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তৃণমূল যোগদানের পর বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগে সোচ্চার হন শংকর মালাকার। বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, ‘বিজেপি কখনও কামতাপুর রাজ্য, কখনও গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গঠনের হাওয়া তুলছে। কখনও আবার বলছে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করে দেবে। এভাবে উত্তরবঙ্গের মানুষের আবেগ নিয়ে খেলছে ওঁরা।’ এর পাশাপাশি তিনি এও মনে করিয়ে দেন, তিনি ১০ বছর বিধায়ক ছিলেন। তখন তিনি বুঝতে পেরেছিলেন শাসকদলের সঙ্গে না থাকলে এলাকার উন্নয়ন করা যায় না।
বুধবার সকালেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল তৃণমূলে যোগদান করতে চলেছেন শংকর মালাকার। এরপর বুধবার বেলা তিনটেয় ‘হাত’ শিবির থেকে ‘জোড়াফুল’ শিবিরে পা রাখেন তিনি। দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের প্রায় ২০ বছরের সভাপতি তিনি। একই সঙ্গে কংগ্রেসর উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষকের ভারও ছিল তাঁর ওপরে। তিনি তৃণমূলে যোগদান করতে চলেছেন শুনেই তড়িঘড়ি তাঁকে দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার।
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা, শংকর মালাকারের তৃণমূলে যোগদানে উত্তরবঙ্গে কংগ্রেসের অস্তিত্বই কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল। একইসঙ্গে তাঁদের ধারনা, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে শংকর মালাকারকে মাটিগাড়া – নকশালবাড়ি থেকে প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল।