অবিলম্বে নুসরত জাহানের ইস্তফা ও গ্রেফতারের দাবি শঙ্কুদেবের

প্রতারণা করে দফায় দফায় টাকা তুলে ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরত জাহান, এমনই বিস্ফোরক দাবি বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার। পাশাপাশি এও জানান, বৃহত্তর এই আর্থিক দুর্নীতির পিছনে বড় মাথা রয়েছে। এরই রেশ ধরে অবিলম্বে বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের পদত্যাগ এবং গ্রেফতারের দাবিও জানানো হয় বিজেপির  তরফ থেকে।

সঙ্গে এও হুঁশিয়ারির দিয়ে জানান, দু-তিন দিনের মধ্যে যদি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অভিযোগের বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ না নিল তিনি আদালতের দরজায় কড়া নাড়বেন। এর আগে বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে নুসরত জাহানের সাংবাদিক সম্মেলনের পরপরই কয়েকজন প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব। সেখানেই সাংবাদিক সম্মেলনে নুসরত মিথ্যে কথা বলছেন বলে দাবি করেন শঙ্কুদেব। এও বলেন, ‘আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য প্রমাণ রয়েছে। সঠিক সময়ে তা সামনে আনব।’

এদিকে নুসরত জাহান সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, ‘২০১৭ সালে যে কোম্পানির কথা বলা হচ্ছে সেই কোম্পানির সঙ্গে তিনি সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করেছেন। তাই যে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে তোলা হচ্ছে তার সঙ্গে তিনি কোনও ভাবেই যুক্ত নন।’ সাংবাদিক সম্মেলনে নুসরত এও বলেন, ‘দুর্নীতির টাকায় ফ্ল্যাট কিনিনি আমি। আর কোম্পানির বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার কোনও শেয়ার নেই কোম্পানিতে। যারা ভুল করে তারা ক্লারিফিকেশন দেয়। আমি ক্ল্যারিফিকেশন দিতে আসিনি। অন্যায় বা ভুল করলে ক্ল্যারিফিকেশন দিতে হয়। কোম্পানি আমার নয়। ২০১৭-র মার্চে অভিযুক্ত কোম্পানি ছেড়েছি। বাড়ি কিনতে কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়েছিলাম। কোম্পানিকে ঋণের টাকা সুদ-সহ শোধ দিয়েছি।’ যদিও নুসরত জাহানের এই দাবি মানতে নারাজ ফ্ল্যাট হস্তান্তর না হওয়ার অভিযোগ তোলা নাগরিকরা।

বলা বাহুল্য, তৃণমূলের তারকা সাংসদের বিরুদ্ধে একাধিক মানুষকে প্রতারণার অভিযোগ তোলেন বিজেপি নেতা। সোমবার সন্ধ্যায় সল্টলেকের ইডি দফতরে পৌঁছন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি, যাঁরা প্রতারিত হয়েছেন বলে দাবি করেন। তাঁদের অভিযোগ কো-অপারেটিভ সিস্টেমের মাধ্যমে ফ্ল্যাট কেনার জন্য মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার করে টাকা দেন শতাধিক ব্যক্তি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − eleven =