টাকিতে পুলিশের গাড়ি থেকে পড়ে সুকান্ত মজুমদার সংজ্ঞাহীন হওয়ার ঘটনায় বেনজির আক্রমণ করে বসলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি সুকান্তকে বিদ্ধ করে বলেন, ‘সাংসদ জীবন অচিরেই শেষ হবে উপলব্ধি করে তিনি ভবিষ্যতে বোধহয় অভিনয়ের জগতে নাম লেখাতে চাইছেন। সেই জন্য একটা রিহার্সাল দিলেন।’ সঙ্গে শান্তনু এও বলেন, ‘কোথাও আমরা দেখিনি কেউ ওনাকে ধাক্কা মারছেন, মারধর করছেন। কিন্তু হঠাৎ তিনি অভিনয় করতে শুরু করলেন।’ প্রায় একই সুর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের গলাতেও। কুণালের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আন্দোলন থেকে পালাতে নাটক করছেন। আসলে আন্দোলন করা অভ্যাস নেই। নাদুসনুদুস চেহারা নিয়ে গাড়ির মাথায় লাফালেন। তারপর শুয়ে পড়লেন। আসলে পালাতে এই সব করলেন। উনি ছবি তোলা আর প্রচারের প্রতিযোগিতা করেছেন। দিল্লিতে ছবি পাঠাবেন যাতে রাজ্য সভাপতি থেকে না সরায়। কিছু লোককে উস্কে শুয়ে পড়লেন। সজ্ঞানে শুলেন। গাড়ির মাথায় বেশি অক্সিজেন পাচ্ছিলেন।’ এরই পাশাপাশি কুণাল কটাক্ষের সুরে এও বলেন, ‘কেউ যদি সাবমেরিনে উঠে লাফায়। ওনার উচিত ছিল সুইমিং কস্টিউমস পড়ে সাঁতরে সন্দেশখালি যাওয়া। যাওয়ার কথা সন্দেশখালি গেল ইছামতীর ঘাটে পুজো করতে।’
প্রসঙ্গত, এদিন টাকি থেকে সরস্বতী মূর্তি নিয়ে সন্দেশখালি যাচ্ছিলেন সুকান্ত। কিন্তু, পথ আটকায় পুলিশ। ইছামতীর তীরে পথেই বসেই সরস্বতী পুজো শুরু করে দেন। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। পুলিশের গাড়ির উপর উঠে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন সুকান্ত। পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসাও শুরু হয়। তখনই ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান সুকান্ত। আঘাত পান। মাথায় ও শিরদাঁড়ায় আঘাত লেগেছে বলে খবর। অসুস্থ সুকান্তকে বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে গেলেও পরে দ্রুত তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। এদিকে এদিনের এই ঘটনায় ফুঁসছেন বিজেপি নেতারা। ফুঁসছেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। এই ঘটনায় দিলীপের বক্তব্য, ‘আমার তো মনে হয় এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। গোটা বাংলাতেই ছড়িয়ে পড়বে বিক্ষোভ। সাধারণ মানুষ অত্যাচার সহ্য করতে করতে শেষ সীমায় পৌঁছেছেন।’ এদিকে বঙ্গ বিজেপি শিবির সূত্রে খবর, এদিন সুকান্তকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন বিজেপির এক মহিলা কর্মীও। প্রসঙ্গত, এখনও তপ্ত সন্দেশখালি। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ফের নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি হয় বেশ কিছু জায়গায়।