প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা চিকিৎসক শান্তনু সেনের ডিগ্রি ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলকে অন্ধকারে রেখে বিদেশি ডিগ্রি ব্যবহার করেছেন তিনি। এই ঘটনায় বুধবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে হাজির হতে বলা হয় প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদকে। সেইমতো এদিন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে উপস্থিত হন শান্তনু সেন। এরপর রাজ্য় মেডিক্য়াল কাউন্সিলের অফিস থেকে বেরিয়ে তিনি দ্বিধাহীন গলায় জানান, কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করেননি। উল্টে এই ইস্যুতে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলকে বিদ্ধ করতে ছাড়েননি প্রাক্তন এই সাংসদ।
চিকিৎসক শান্তনু সেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ। তবে আরজি কর কাণ্ডের আবহে রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ে। বর্তমানে তিনি ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য শাখার সম্পাদক। তাঁর বিরুদ্ধেই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলকে অন্ধকারে রেখে এফআরসিপি গ্লাসগো ডিগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় কাউন্সিলের বক্তব্য, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিলে নথিভুক্ত না করে কোনও ডিগ্রি ব্যবহার করা যায় না। সেটাই করছেন চিকিৎসক শান্তনু সেন। সেজন্যই এদিন তাঁকে তলব করা হয়। এই প্রসঙ্গে শান্তনু সেন জানান, ‘এফআরসিপি ডিগ্রি নথিভুক্ত করার জন্য একাধিকবার কাউন্সিলকে চিঠি দিয়েছি। ভেরিফিকেশন অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশনের জন্য নিয়মানুযায়ী ফি’ও জমা করেছি। সম্প্রতি দু’বার আরটিআই করেছি। কোনও জবাব আসেনি। আমি কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করিনি। এরপরও কেন আমাকে চিঠি পাঠানো হল, তা যাঁরা চিঠি দিয়েছেন তাঁরাই বলতে পারবেন।’ এখানেই শেষ নয়, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলকে কটাক্ষ করে তিনি এও জানান, ‘আমার কাছে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল। যা জানতে চাওয়া হয়েছিল, তার বেশি জবাব তথ্য প্রমাণ-সহ দিয়ে এসেছি। যাঁরা রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের পদে বসে রয়েছেন, তাঁদের এই মেডিক্যাল কাউন্সিল অ্যাক্টের প্রতিটি ধারা মেনে চলা উচিত। যাঁরা আমাকে ডেকে পাঠিয়েছেন, তাঁদের গাফিলতিতে আমার বিদেশি ডিগ্রি যোগ হয়নি।’ তবে এই ঘটনায় অনেকের ধারনা, তিনি রাজনীতির শিকার। তবে এ ব্য়াপারে একেবারে মুখে কুলুপ আঁটতে দেখা যায় শাসকদলের প্রাক্তন সাংসদকে।