বিএইচইউতে আইআইটির ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় কটাক্ষ শশীর

বিএইচইউ ক্যাম্পাসের মধ্যে আইআইটির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে উত্তাল রাজনীতি। প্রসঙ্গত, বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি (বিএইচইউ) চত্বরের মধ্যেই এক আইআইটি পড়ুয়াকে যৌন হেনস্থার মামলায় দু’মাস পরে অভিযুক্ত তিন জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় জড়িত কুণাল পাণ্ডে, আনন্দ ওরফে অভিষেক চৌহান এবং সক্ষম পটেল, এই তিন অভিযুক্তই বিজেপির আইটি সেলের বারণসী শাখার পদাধিকারী বলে অভিযোগ বিরোধী দলগুলির। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীর বুকে এমন ঘটনায় সুর চড়ান বিরোধীরা।

এবার এই ইস্যুতে মুখ খুলল তৃণমূলও। বিজেপিকে নিশানা করে তৃণমূলের শশী পাঁজা এদিন প্রশ্ন তোলেন, ‘কেন আপনারা নিজেদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন না? বঙ্গ বিজেপির সহ-ইনচার্জ এবং বারবার ভুয়ো খবরের ফেরিওয়ালা অমিত মালব্য এখন কেন চুপ? ঘটনাটি ২ নভেম্বর ঘটেছিল। অপরাধীদের ৫ নভেম্বর ছাত্রদের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল। আর গ্রেফতার করতে এত সময় লাগল?’

এখানেই শেষ নয়, মন্ত্রী শশী পাঁজা এদিন আরও বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশ নারী ও ধর্ষণ সংক্রান্ত অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তারা সম্পূর্ণরূপে নীরব থাকে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এই বিষয়ে অমিত মালব্যর বক্তব্য়ও দাবি করেন মন্ত্রী শশী। সঙ্গে জানতে চান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা নিয়েও। পাশাপাশি এ প্রশ্নও তোলেন, তারা কি ধর্ষকদেরও গোপনে সরিয়ে দিয়েছে কি না। সঙ্গে মনে করিয়ে দেন, এই ঘটনাটি ঘটেছে বিএইচইউতে, যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী এলাকা।

আর এই প্রসঙ্গেই মন্ত্রী শশীর কটাক্ষ সহ একগুচ্ছ প্রশ্ন, ‘এই বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং বিজেপির কী বলার আছে? বিজেপির আইটি সেলের জাতীয় ইনচার্জ অমিত মালব্য এখনও কেন নীরব? যারা বিজেপির বিরোধিতা করে তাদের বিরুদ্ধে তিনি দ্রুত টুইট করেন। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি কেন নীরব? কেন তিনি টুইট করে এই ঘটনার নিন্দা করছেন না? তারা সবাই এখন নীরব? বহুল আলোচিত ডবল ইঞ্জিন সরকারের হল কী?’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × two =