কলতানের গ্রেফতারি নিয়ে কুণালকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করালেন শতরূপ

কলতানের গ্রেফতারি নিয়ে এবার মুখ খুললেন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ। তাঁর পরিষ্কার বক্তব্য, এআই ব্যবহার করে এখন অনেক ভিডিয়ো বানানো হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কুণাল ঘোষের পোস্ট করা ভিডিয়োর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। একই সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একটি ছবি দেখিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন শতরূপ।

রবিবার কলতানের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে শতরূপ বলেন, ‘এখন এমন অনেক অডিয়ো শুনতে পাওয়া যায়। মৌসুমী ভৌমিকের গান অরিজিৎ সিংয়ের গলায় এআই দিয়ে বানানো হয়েছে। তারপর শুনি আমি বাউন্ডুলে ঘুড়ি অনুপম রায়ের গান হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গলায়। সুতরাং এই সব শুনলে সাধারণ মানুষ হাসে।” একই সঙ্গে শতরূপ এও বলেন, ‘একটা আক্রমণের আষাঢ়ে গল্প শুনিয়ে ধরনা মঞ্চ সিসিটিভি দিয়ে ঘিরে ফেলা হল। আমরা পরিষ্কার দাবি করছি ওই সিসিটিভি গুলো থেকে অডিয়ো শোনা যায় কি না তা দেখাতে হবে। ওইখানে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে আন্দোলনকারীরা কী কথা বলেছেন তা শোনার জন্য। অডিয়ো এনাবেল সিসিটিভি লাগিয়ে আড়ি পাতা হচ্ছে।’

বস্তুত, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেখানে দু’জনের কথোপকথন শোনা যায়। অভিযুক্তরা ডাক্তারদের সাংবাদিক বৈঠকে হামলার ছক কষছে বলে দাবি করা হয়। সংশ্লিষ্ট অডিয়ো ক্লিপের কথোপকথনের নিয়ে যখন তুমুল চর্চা চলছে সেই সময় পুলিশের হাতে সঞ্জীব দাস নামে এক ব্যক্তি গ্রেফতার হন। পুলিশের দাবি এই সঞ্জীব দাস অতি বাম নেতা। এরপর রবিবার শতরূপ নিজের মোবাইল খুলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি দেখান। তাঁর দাবি এই সঞ্জীব ২০১৭ সালে নিজের ফেসবুক  প্রোফাইলে পার্থর ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘গড ফাদার’। আর এখানেই শতরূপের প্রশ্ন, ‘কোন অতিবাম নেতার গড ফাদার পার্থ চট্টোপাধ্যায় হয়?’

শতরূপ বলেন, ‘সঞ্জীব দাসের ফেসবুক থেকে অনেক কিছু পোস্ট করা হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন মাই গড ফাদার। ইনি মাওসেতুং নাকি কিষেণজি? পার্থ চট্টোপাধ্যায় কবে অতি বামদের গড ফাদার হওয়া শুরু করলেন? সুতরাং পরিষ্কার বলছি পাড়ার একটা তৃণমূলের ছেলেকে এনে তাঁকে দিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য আদায় করে, তাঁকে অতিবাম সাজিয়ে এই আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 6 =