নওশাদের বিরুদ্ধে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনলেন শওকত মোল্লা

ফের রাজনৈতিক বাদানুবাদে তপ্ত ভাঙড়। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে এবার সরাসরি খুনের ঘটনায় জড়িত বলে অভিযুক্ত করলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। এমনকি, খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ দিতে না পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলেও দাবি করেন তিনি। প্রত্যুত্তরে আইএসএফ বিধায়ক জানান, ‘উনি দেখাক কী প্রমাণ দেখাবেন। আমাকে তো জেলে পুরতে হবে। সিআইডি তদন্ত করছে।’ একইসঙ্গে প্রত্যয়ের সঙ্গে এও জানান, ‘ধৈর্য্য ধরুন, কারা এসব করেছে, তদন্ত করলে বেরিয়ে যাবে।’

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের হাতিশালাই তৃণমূল কংগ্রেসের একটি বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে যোগদান করে বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় যে কজন মানুষ ভাঙড়ে খুন হয়েছে সেই খুনের দায় নিতে হবে নওশাদ সিদ্দিকিকে। আর এই ঘটনায় প্রযোজনীয় তথ্য প্রমাণ তিনি দেবেন বলেও জানান। পাশাপাশি এবার লোকসভা ভোটে নওশাদ সিদ্দিকির ডায়মন্ড হারবারে ভোটে দাঁড়ানোর যে কথা চলছে তাতে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক জানান,  ‘ঠিক আছে দাঁড়াক। কিন্তু ওটা ভাঙড় নয়, আমিও ডায়মন্ডহারবারের সাতগাছিয়া বিধানসভার পর্যবেক্ষক। তাই নওশাদের জামানত জব্দ যদি করতে না পারি ভোট গণনার পরের দিন পদত্যাগ করবো।’ জবাবে নওশাদ বলেন, ‘উনি অনেক কিছু বলেন। ওঁর নেত্রী বলেছিলেন ডবল ডবল চাকরির কথা, চাকরি চুরি হয়ে যাচ্ছে। শিল্প হয়নি। আগে এগুলোর জবাব দিক।’

শুধুমাত্র শওকত-ই নন, ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামও বলেন,‌ ‘নওশাদ সিদ্দিকি ভাঙড়ে বিজেপির দালালি করতে এসেছেন। তাই আগামী লোকসভা নির্বাচনে নওশাদকে ভাঙড় থেকে উৎখাত করব।’ তাঁর কথায়, আগামী লোকসভা ভোটে ভাঙড় থেকে নওশাদ সিদ্দিকির গলা ধাক্কা দিয়ে হুগলিতে পাঠিয়ে দেব।‘

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই আগামী লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে লড়াইয়ের ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। হাইভোল্টেজ এই আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে এই আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে হারানোর ব্যাপারেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন নওশাদ। তাঁকে আগেই বলতে শোনা যায়, ‘ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডায়মন্ড হারবার থেকে হারিয়ে, পরাজিত সাংসদ করে কালীঘাটে পাঠাব।’

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে আইএসএফ এবং তৃণমূলের বিরোধ চরমে উঠেছে ভাঙড় এলাকায়। উল্লেখ্য, নভেম্বর মাসেই জেলার তৃণমূল নেতাদের নিয়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি সম্মেলনে নওশাদের নাম না করে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। সেদিন তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘বিজেপির টাকা নিয়ে দুই একজন ভুঁইফোড় উঠেছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 3 =