মর্মান্তিক ঘটনা বাঁশদ্রোণিতে, জেসিবি পিষে দিল কিশোরকে

মহালয়ার সকালে মর্মান্তিক ঘটনা বাঁশদ্রোণীতে। জেসিবি চাপা দিয়ে দেয় নবম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে। মৃত কিশোরের নাম সৌম্য শীল। গঙ্গাপুরী শিক্ষা সদন স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল ওই কিশোর। তাঁর বাবা পেশায় রিক্সা চালক। বাঁশদ্রোণীতেই বাড়ি কিশোরের। স্থানীয় সূত্রে খবর, সৌম্য অন্যান্য দিনের মতোই বুধবার সকালেও বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে, বাঁশদ্রোণী থানার অধীনে ১১৩ নং ওয়ার্ডে দীনেশ নগর অটোস্ট্যান্ডের কাছে টিউশনি পড়তে গিয়েছিল ওই পড়ুয়া। কোচিং সেন্টারের বাইরেই জেসিবি এসে চাপা দেয় তাঁকে। গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। ভাঙচুর করা হয় পেলোডারটি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, টিউশনি পড়তে যাওয়ার সময় সৌম্য জেসিবি আসতে দেখে, নারকেল গাছের পাশে  সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। কিন্তু জেসিবির ধাক্কায় মাটিতে ছিটকে পড়ে কিশোর। এরপরই সৌম্যকে পিষে দেয় ওই জেসিবিটি। রক্তে ভেসে যায় গোটা চত্বর। স্থানীয় বাসিন্দারাই ওই কিশোরকে উদ্ধার করে বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তার বেহাল দশা। প্রশাসনকে জানিয়েও বিশেষ কোনও লাভ হয়নি। সম্প্রতিই রাস্তা সারাইয়ের কাজ হচ্ছিল। রাস্তায় মাটি, স্টোনচিপ ফেলা ছিল। যার জেরে সাধারণ মানুষের চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। আজকের এই দুর্ঘটনার পরও পুর-প্রতিনিধির দেখা মেলেনি বলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশও দুর্ঘটনার দেড় ঘণ্টা পরে এসেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতেই এলাকাবাসীরা তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে, স্লোগান দিতে শুরু করে। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে পাটুলি থানার এই ওসির-ই রাজনৈতিক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠেন। বুধবার তাঁকে কাছে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। তাঁকে ঘিরে ধরে যখন বিক্ষোভ হয়, বাকি পুলিশ কর্মীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। তাতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। দেখা যায়, জনা পঞ্চাশেক যুবক রীতিমতো পাটুলি থানার ওসি-কে টানতে টানতে এলাকায় নিয়ে যায়। অভিযোগ, এক কনস্টেবলকে রীতিমতো, লাথি, ঘুষি-চড়ও মারা হয়। যদিও স্থানীয় যুবকদের বক্তব্য, ‘আমরা প্রথমে কিছুই করিনি। আমাদেরকেই প্রথমে মারা হয়েছিল।’ এদিকে দীর্ঘক্ষণ অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও দেখা মেলেনি স্থানীয় কাউন্সিলরের।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + 17 =