শহর কলকাতার নামি স্কুলে এবার জুতো বিতর্ক। খাতা-বই, অ্যাসাইমেন্টের জিনিস আগে থেকেই কিনতে হত স্কুল থেকে। সেটাই ছিল অলিখিত এক নিয়ম। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল বিষয়টা। কিন্তু বিতর্ক ছড়ায় অভিভাবকদের গ্রুপে আসা স্কুল কর্তৃপক্ষের একটি মেসেজে। সেই মেসেজে বলা হয়, স্কুল থেকে কিনতে হবে নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের একটি জুতো। সপ্তাহে ১ দিন পিটি ক্লাসের জন্য এইরকম দামি জুতো কেনার অলিখিত আরও এক নির্দেশ। নার্সারি থেকে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত। আর নির্দিষ্ট এই ব্র্যান্ডের ‘ভেলক্রো’ জুতোর নাম ২০৪৭ টাকা। আর ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পর্যন্ত সেই জুতোর নাম ২১০০ টাকা। নির্দিষ্ট সেই ব্র্যান্ডের নামও উল্লেখ করে দেওয়া রয়েছে স্কুলের মেসেজে।
এই মেসেজ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ঢুকতেই অভিভাবকদের মনে একাধিক প্রশ্ন তৈরি হয়। কীভাবে স্কুল ঠিক করে দিতে পারে, অভিভাবক তাঁর সন্তানকে কত দামি ব্র্যান্ডের জুতো পরাবেন তা নিয়ে। সঙ্গে এ প্রশ্নও ওঠে, কেনই বা ২ হাজার টাকা মূল্যের স্কুলের জুতো কিনতে হবে তা নিয়েও।
এহেন মেসেজ পাওয়া মাত্রই চিন্তায় পড়েন মধ্যবিত্ত অভিভাবকরা। যাঁরা সন্তানকে ভালভাবে মানুষ করবেন বলে শহরের নামি স্কুলে পড়ান সেখানে পড়ানোর খরচ, স্কুল ফিজ ছাড়াও আরও অন্যান্য অনেক কিছুই খরচ থাকে।
এ ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে চাননি স্কুল। তবে বিতর্ক এড়াতে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দামি জুতো কেনা আবশ্যিক নয়। স্কুলের বক্তব্য, অভিভাবকরা চাইলে বাইরে থেকেও জুতো কিনতে পারেন। যেহেতু এই ‘ভেলক্রো’ কিনলে স্কুলের ‘রেগুলার শু’ ও ‘স্পোর্টস শু’র কাজ একসঙ্গেই হয়ে যাবে, তাই মেসেজ করা হয়েছে।