যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আজাদ কাশ্মীরের স্লোগান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এই ইস্যুতে এবার সরব হতে দেখা গেল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘অ্যান্টি ন্যাশনাল হাব’ বলে আখ্যা দিলেন তিনি। একইসঙ্গে বিঁধলেন রাজ্য সরকারকেও। টেনে আনলেন বছর দুয়েক আগে যাদবপুরে তাঁর ‘আক্রান্ত’ হওয়ার ঘটনাও।
গত ১ মার্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা ঘিরে যে উত্তেজনা ছড়ায় তারই মাঝে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ নম্বর গেটের কাছে লেখা হয় আজাদ কাশ্মীরের স্লোগান। মুক্ত প্যালেস্তাইনেরও দাবি জানানো হয়। এই দেওয়াল লিখনের নিচে লেখা রয়েছে অতি বাম ছাত্র সংগঠন পিডিএসএফ-র নাম।
এই প্রসঙ্গে এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান্টি ন্যাশনাল হাব। টুকরে টুকরে গ্যাং। এরকম স্লোগান লিখলেও পুলিশ-প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে না।’ এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসকদলকে বিদ্ধ করে বলেন, ‘এরা ভোটের সময় বলে, নোট ভোট টু মোদিজি, নো ভোট টু বিজেপি। যার ফায়দা তৃণমূল পায়। অর্থাৎ’, ভোট রাজনীতির জন্যই প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেবে না বলে তিনি দাবি করেন।
এরপরই যাদবপুরে তাঁর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা টেনে আনেন শুভেন্দু। বলেন, ‘২০২৩ সালে যাদবপুরে আমার উপর হামলা চালিয়েছিল আরএসএফ। তারা নিজেদের মাওবাদী বলছিল। তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। রাত ১১টায় পুলিশমন্ত্রী মমতার নির্দেশে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। আমার বিরুদ্ধে যাদবপুরের ওসি হাইকোর্টে যান। সেই মামলা এখনও চলছে।’
এর আগে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘যাদবপুর তো চিরদিনই মাওবাদীদের আখড়া। ক্যাম্পাসের ভিতরে কোনও রাজনৈতিক অস্তিত্ব নেই। কিছু পুরনো লোক রয়েছে, যাঁরা তাঁদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন। নতুন ছেলেমেয়েরা যায়, তাদের ওখানে মাথা খাওয়া হয়। দিল্লিতে ওরকম চলেছিল, আজ হিম্মত নেই কিছু করার।’