মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ শুভেন্দুর

বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের দলীয় সভায় রণংদেহি মেজাজে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিনের এই সভা থেকেই বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি বিরোধীদের ৮ জনকে জেলে ভরব।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর শুক্রবারই পাল্টা তোপ দেগে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর করবেন। আর শনিবার তা কার্যত করেই দেখালেন তিনি। এবার হেয়ার স্ট্রিট থানায় ইমেল করে অভিযোগ জানালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। পুলিশকে পাঠানো অভিযোগের প্রতিলিপি এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ারও করেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ‘প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’ লিখেছেন, ‘আশা করি পুলিশ এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে।’ শুধু তাই নয়, হেয়ার স্ট্রিট থানায় ইমেল মারফত অভিযোগ পাঠানোর পাশাপাশি পুলিশকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লেখেন, ‘যদি পুলিশ এফআইআর রেজিস্টার করতে অস্বীকার করে, তাহলে আমি ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করব। তারপর আমি এই অভিযোগটি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হব।’

উল্লেখ্য, নেতাজি ইনডোরে দলীয় সভা থেকে বিরোধীদের উদ্দেশে একের পর এক আক্রমণ শানান।সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে দলীয় বিধায়কদের গ্রেফতারি নিয়েও।তাঁর দলের চার বিধায়ককে ‘চুরির বদনামে’ জেলে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে বলেও তোপ দাগতে দেখা যায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরই রেশ ধরে তিনি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘ওদের ৮ জনকে জেলে ভরব’। এদিকে তৃণমূল সুপ্রিমো যখন ঝাঁঝালো আক্রমণ শানাচ্ছিলেন বিরোধীদের লক্ষ্য করে ঠিক সেই সময়ই শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রামে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। জয়নগর থেকেই শুভেন্দু পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন এফআইআর করার বিষয়ে।

এদিকে শুভেন্দুকে এই ঘটনায় পালটা কটাক্ষ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘শুভেন্দু মানসিক ভারসাম্যহীন। মমতা ঠিক কথা বলেছেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেনস্তা করছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দিয়েছেন সৌজন্যের খাতিরে গ্রেপ্তার, বদলির রাজনীতি করেননি। বিজেপির হেনস্তার পর তিনি বলেছেন পুরনো মামলার ভিত্তিতে এবার গ্রেপ্তার করাব। শুভেন্দু এটা শুনেই ভয় পেয়ে যাচ্ছে। সারদার পর কাঁথিতেও একের পর এক দুর্নীতিতে ওর নাম জড়িয়েছে। তাই ভয় পেয়ে সস্তার নাটক করছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − eleven =