সিদ্দারামাইয়ার ভাগ্য নির্ধারণ করছে কংগ্রেস হাইকমান্ডের ওপর !

সিদ্দারামাইয়া কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন কি না তা সম্পূর্ণটাই নির্ভর করছে কংগ্রেস হাইকমান্ডের ওপর। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে গদি হারাতে চলেছেন সিদ্দারামাইয়া৷ আগামী অক্টোবর মাসেই নাকি কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সিদ্দারামাইয়াকে সরিয়ে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে উপ মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারকে। সম্প্রতি বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। এরপর থেকেই গুঞ্জন আরও বেড়েছে কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব বদল নিয়ে। এদিকে এ বিষয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে প্রশ্ন করা হলে তিনিও তা অস্বীকার করেননি। উপরন্তু, গোটা বিষয়টিহাইকম্যান্ড’-এর উপরে ছেড়ে দেওয়ায় ফের বিরোধীদের কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাঁকে।

প্রসঙ্গত, রবিবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে আগামী অক্টোবরে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বদলের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘এটা হাইকম্যান্ডের হাতে রয়েছে৷ এখানে কেউ জানে না হাইকম্যান্ড কী ভাবছে৷ এটা হাইকম্যান্ডের ব্যাপার৷ তাদেরই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে এর পরে কী হবে৷ কিন্তু, অপ্রয়োজনে কোনও সমস্যা তৈরি করার দরকার নেই৷এরপরই বিজেপি সহ বিরোধীদের কটাক্ষের শিকার হন খাড়্গে৷ দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য কটাক্ষ করে লেখেন, কংগ্রেসের হাইকম্যান্ডটা ঠিক কে? ব্যাপারটা অনেকটা ভূতের মতো৷ দেখা যায় না, শোনা যায় না, কিন্তু অস্তিত্ব যে আছে সেটা টের পাওয়া যায়৷ এমনকি, মানুষ যাকে হাইকম্যান্ড ভাবে, সেই কংগ্রেস সভাপতিও বলছেন, তিনি নাকি হাইকম্যান্ড নন।এক্ষেত্রে, গান্ধি পরিবারের নেতৃত্বের দিকেই আঙুল তুলেছে বিজেপি

গত রবিবার কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়ক এইচএ ইকবাল হুসেন দাবি করেছিলেন, উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারকে আগামী ২৩ মাসের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দেওয়া হতে পারে।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, ২০২৩ সালে কর্ণাটকে সরকার গড়ার সময়েই মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা দেখা দিয়েছিল পার্টির প্রবীণ সদস্য সিদ্দারামাইয়া ও গান্ধি পরিবারের বিশেষ করে সনিয়া গান্ধিরকাছের লোকডি কে শিবকুমারের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + 5 =