সোমবারই এসে গেছে সুপ্রিম নির্দেশ। কিন্তু, মঙ্গলবারের সন্ধেতেও তিলোত্তমার সুবিচারের দাবিতে রাস্তা আঁকড়ে পড়ে থাকতে দেখা গেল জুনিয়র চিকিৎসকদের। স্বাস্থ্যভবন অভিযানের জেরে অবরুদ্ধ করুণাময়ী। এদিকে এরইমধ্যে আবার একদিন আগে সাংবাদিক বৈঠক থেকে আবার উৎসবে ফেরার কথা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে রাজ্যজুড়ে। আন্দোলনকারী থেকে নাগরকি মহল, সর্বত্র উঠেছে বিতর্কের ঢেউ। এদিন জুনিয়র চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য ভবন অভিযান থেকে মমতার এ মন্তব্যের প্রতিবাদে উঠল লাগাতার স্লোগান। ‘কাঁদছে আমার বোনের শব, চাই না এমন নোংরা উৎসব’, এই লাইনে চলে গানও।
প্রসঙ্গত, সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেছিলেন, ‘১ মাস তো হয়ে গেল। আজ ৯ তারিখ। এক মাস এক দিন। ৩১-এ মাস গিয়েছে। আমি অনুরোধ করব, পুজোতে ফিরে আসুন, উৎসবে ফিরে আসুন।’ আর এখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। এদিন প্রতিবাদ মুখর রাস্তায় দাঁড়িয়েই এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘৩২ দিন হয়ে গিয়েছে। আজও বিচার পাওয়া যায়নি। আমাদের কোনও দাবি মানা হচ্ছে না। শুধু কোনওভাবে আমাদের ডিউটি প্রবেশ করিয়ে হাত তুলে নিতে চাইছে। উৎসব করতে বলছে। কিন্তু ওটা দিয়ে হবে না। এখন গোটা বাংলা, দেশ, গোটা বিশ্ব জেগে উঠেছে। সেই আগুন নেভানো যাবে না। উৎসবে যাঁরা ফিরতে চায় ফিরুক। কিন্তু আমাদের মধ্যে সেই মনোভাব কারও রয়েছে বলে মনে হয় না।’
পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তিলোত্তমার মা-ও। তিনি জানান, ‘দেশের মানুষ যদি ভাবেন উৎসবে ফিরবেন তাহলে ফিরবেন। তাঁরা তো আমার মেয়েটাকে নিজের পরিবারের মেয়ে ভাবছেন। তাঁরা যদি ফিরতে পারেন তাহলে আমার কিছুই বলার নেই।’
এরপরই উৎসব প্রসঙ্গে মমতার বিরুদ্ধে আরও সুর চড়িয়ে বলেন, ‘আমাদের উৎসব একটাই। আমাদের উৎসব রাস্তায় রঙ তুলি দিয়ে আঁকা, প্ল্যাকার্ড তৈরি। মানুষকে বোঝাতে চাই আমরা এখনও বিচারের জন্য আওয়াজ তুলছি। যতক্ষণ না আমরা স্বাস্থ্য ভবনের চোখ খুলতে পারছি আমাদের আন্দোলন চলবে।’
ফুঁসছেন এনআরএস মেডিকেল কলেজের রেসিডেন্টস ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনও। ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাঁরা জানান, ‘সুপ্রিম কোর্ট আমাদের ৫টার মধ্যে কাজে ফিরতে বলেছে। সঙ্গে বিচারপতি বলেছেন সমস্ত সুযোগ-সুবিধা নিরাপত্তা পেলেই তবেই যেন আমরা কাজে জয়েন করি। পরবর্তীতে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী ৫টার নির্দেশ অমান্নে অ্য়াকশনের কথাকে ভ্যালিডেট করেছিলেন। আমরা জানতে চাই কী অ্যাকশন নেওয়া হবে।’