দুর্গাপুজো এসে গেল বললেই হয়। আর যাঁরা এই পুজোতে শহরের ভিড় এড়াতে বাইরে য়াবেন ঠিক করে ফেলেছেন তাঁদের হয়তো ট্রেনের টিকিটও কাটা হয়ে গেছে বহু আগেই। এর মধ্যে একটা বিরাট অংশ মুখিয়ে রয়েছেন কাশ্মীরে যাওয়ার জন্য। তবে, কাশ্মীর বেড়াতে যাওয়ার আগে কিছু জিনিস জেনে রাখা দরকার তো বটেই। যেমন,
১) প্রথমবার কাশ্মীর গেলে লিস্টে রাখতেই হবে পাটনিটপ, পহেলগাঁও, গুলমার্গ, সোনমার্গ, বেতাব ভ্যালি। বর্তমানে উপত্যকার মধ্যে লুকিয়ে থাকা অফবিট জায়গাগুলিতেও ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা। যেমন-আরু ভ্যালি, ইয়ুসমার্গ, গুরেজ ভ্যালি, লোলাব ভ্যালির মতো জায়গাগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এমন বেশ কিছু জায়গা রয়েছে, যা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত। আর সেখানকার সৌন্দর্যও মন কেড়ে নেওয়ার মতো। ভ্রমণের তালিকাতে এ সমস্ত জায়গাও রাখতে পারেন।
আর একটা কথা প্রথমেই বলে দেওযা দরকার তা হল অক্টোবর মাসে কাশ্মীরে আবহাওয়া ২০ থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই ঘোরাফেরা করে। তবে পুজো এবার অনেক দেরীতে। তাই ঠান্ডা পাবেন কাশ্মীরে। গরম জামাকাপড় নিতে ভুলবেন না।
শীতবস্ত্রের পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনের জিনিস সঙ্গে রাখতে হবে। জ্বর, পেট খারাপ, ব্যথার ওষুধপত্র সঙ্গে রাখুন। অনেক সময় হাতের কাছে ডাক্তার বা ওষুধের দোকান নাও পেতে পারেন।
সঙ্গে অবশ্যই পরিচয়পত্র রাখবেন। যদি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখতে চান, সেক্ষেত্রে আলাদা করে পারমিট করাতে হয়। সেখানে আপনার পরিচয়পত্র এবং অন্যান্য নথি দরকার। সেগুলো সঙ্গে রাখুন।
কাশ্মীর গেলে আর ডাল লেকে সময় কাটালেন না, এই ভুল করবেন না। ডাল লেকে শিকারা ভ্রমণের সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও রাত কাটাতে পারেন হাউসবোটে। হোটেলের তুলনায় একটু খরচ সাপেক্ষ এই হাউসবোট। কিন্তু এখানে আপনি কাশ্মীর ভ্রমণের সেরা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন।
কাশ্মীর ঘুরতে গেলে সেখানকার স্থানীয় খাবার খেতে ভুলবেন না কিন্তু। ওয়াজবন কাশ্মীরের ঐতিহ্যবাহী খাবার। এটি মাল্টি-কোর্স মিল। এখানে রোগান জোশ থেকে শুরু করে জাফরন রাইস সব পাবেন। এছাড়া খেয়ে দেখতে পারেন ইকাখনি আর কাওয়া।
কাশ্মীরে হাতে তৈরি শাল ও ঘর সাজানোর জিনিসপত্র মেলে বেশ কম দামে। শপিং করার ইচ্ছা থাকলে ঘুরে দেখতে পারেন। এছাড়া এখানে আমন্ড, কাজু, আখরোট পাওয়া যায়। বাড়ির জন্য কিনে আনতে পারেন।