এনআরএসের অধ্যক্ষ ও স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের মধ্যে চালাচালি হওয়া সরকারি নথিতে অ্যানাটমি ও নিউরোমেডিসিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। অ্যানাটমি বিভাগের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্র সংসদের অভিযোগ, তাঁর কথা না শুনলে পরীক্ষায় পড়ুয়াদের খারাপ ফলের হুমকি দেওয়া হয়। নিউরো মেডিসিনের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ওই বিভাগের পিডি পিটিদের অভিযোগ,পরীক্ষায় পাশ করানোর জন্য নাকি উপঢৌকনও চাওয়া হয়। অভিযোগ পেয়ে অ্যানাটমি বিভাগের অধ্যাপককে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে ও নিউরো বিভাগের অধ্যাপককে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ফেরত পাঠানোর সুপারিশ করা হয়। এদিকে অভিযোগ ওঠে, অ্যানাটমি বিভাগের অধ্যাপকের বদলির নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরও তা স্থগিত হয়ে যায়। আর এই সব ইস্যুতেই স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যবস্থায় অরাজকতা নিয়ে সরব বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন।
এদিকে সূত্রে খবর, এনআরএস-এর দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে আরটিআই করেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরসের আহ্বায়ক পূণ্যব্রত গুণ। তাতেই প্রকাশ্যে আসে সরকারি নথি। জেপিডি-র আহ্বায়ক পূণ্যব্রত গুণের বক্তব্য, ‘আমরা ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে, হেল্থ সেক্রেটারিকে জানিয়ে আমরা ক্লান্ত। কারণ কোথাও কোনও কিছুই হচ্ছে না। কেউ কোনও পদক্ষেপই করছেন না। বাধ্য হয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন কিংবা রাজ্যপালের কাছে যেতে হবে।’ তাঁর অভিযোগ, এই নিয়ে তাঁরা একাধিকবার স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকেও একাধিকবার চিঠি লিখেছেন বলে জানান তিনি। কিন্তু অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠির একটিরও জবাব আসেনি। এদিকে এনআরএসের অ্যানাটমি বিভাগের অভিজিৎ ভক্ত অবশ্য জানান, ‘সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা অভিযোগ। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে। এটা শুনে আমিও অবাক হয়ে যাচ্ছি।’