সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে অবিলম্বে বাড়ি বিক্রি করার চাপ বৃদ্ধা মা-আর দাদা বৌদির ওপর। আর তা মেনে নেওয়ার ঘটনায় পরিবারের ছোট ছেলের হাতে আক্রান্তও তাঁরা। এই ঘটনায় বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সূত্রে খবর, সল্টলেকের সি এফ ব্লকের বাসিন্দা বৃদ্ধা মিনতি মুখোপাধ্যায়ের বড় ছেলের নাম দেবাশিস ও বৌমা মিলন। তাঁদের নিয়ে তিন তলা বাড়িতে থাকেন। মিনতির দুই ছেলে এবং এক মেয়ে, ছোট ছেলে শুভাশিস কর্মসূত্রে দুবাইতে ছিল। পরবর্তীতে তিনি ফিরে আসেন কলকাতায়। এরপর নিউটাউনে থাকতে শুরু করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ছোট ছেলে শুভাশিস বাড়ি এসে মায়ের ওপর মানসিক চাপ তৈরি করতেন। এরপর গত শনিবারের ঘটনা। অভিযোগ, রাত এগারোটা নাগাদ হঠাৎ শুভাশিস বাড়িতে চড়াও হন। বাড়ির গেট বন্ধ থাকায় হাতুড়ি দিয়ে গেট ভাঙেন বলেও অভিযোগ।
আওয়াজ পেয়ে বৃদ্ধা মা চিৎকার করেন। অন্যদিকে শুভাশিসকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁর দাদা বৌদি। এরপর নম্বরে ফোন করে গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ আসছে শুনে তড়িঘড়ি ছোট ছেলে শুভাশিস বাড়ি থেকে বেরোনোর চেষ্টা করে। তখন দাদা ও বৌদি তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। অভিযোগ, বৌদিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। এর পাশাপাশি বৃদ্ধা মা মিনতি দেবী জানান, ছোট ছেলে বাড়ির মিটার বক্স ভেঙে ফেলেন, যাতে তাঁরা অন্ধকারে থাকেন। সঙ্গে বাড়ির জিনিসপত্রও ভাঙচুর করা হয়। এরপর থানায় এফআইআর দায়ের করেন বৃদ্ধা।
এই প্রসঙ্গে বৃদ্ধা জানান, ‘আমাকে জব্দ করতে বাড়ির সব জিনিস ভাঙচুর করে। আমি ঘরে ছিলাম, তালা দিয়ে দিচ্ছে, মিটার বক্স ভেঙে ফেলছে, টিভি ভাঙছে। থানায় বলেছি। আমার ছোট ছেলে কেন এমন করছে বুঝতে পারছি না, আদৌ সুস্থ রয়েছে নাকি অসুস্থ হয়ে গেল, চিন্তা হচ্ছে।’