মুখে বালিশ চাপা দিয়ে বাবাকে খুন, থানায় আত্মসমর্পণ ছেলের

মুখে বালিশ চাপা দিয়ে বাবাকে খুন। এরপর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ। এমন ঘটনার সাক্ষী থাকল ২৪ নম্বর বরাহনগর থানার শিশিরকুমার রোডের বাসিন্দারা। ২৪ নম্বর শিশিরকুমার রোডে বাবা ললিত কুমার অধিকারীর সঙ্গে থাকতেন বছর বাহান্নর ছেলে গৌতম অধিকারী।   বুধবার সকালে সত্তরোর্ধ্ব বাবার টাকাপয়সা নিয়ে ছেলের বচসা বাধে। যার জেরেই খুন বলে থানায় গিয়ে জানায় ছেলে গৌতম। ঘটনা জানতে পেরে

পুলিশ ঘটনাস্থলে. গিয়ে ললিত অধিকারীর দেহ উদ্ধার করে। এরপর তা ময়না তদন্তের জন্য পাঠানোও হয়। এদিকে গৌতমকে গ্রেপ্তার করেছে বরাহনগর থানার পুলিশ।

পরিবার সূত্রে খবর, অভিযুক্ত গৌতম পেশায় অটোচালক। দীর্ঘদিন ধরেই নেশায় আসক্ত ছিল। গৌতম স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। মাঝেমধ্যে বরাহনগরে বাবার কাছে আসত। বুধবারও সকালে গৌতম বাবার কাছে টাকা চাইতে গিয়েছিল। সে সময়ে ললিতবাবু টাকা দিতে চাননি। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। তখনই রাগের বশে বাবার মুখে বালিশ চেপে ধরে গৌতম।ললিতের মেয়ে রেণু অধিকারী জানান, গৌতম মাঝেমধ্যেই নেশা করে বাবার কাছ থেকে টাকা চাইত। তবে কী এমন ঘটল, যার জেরে খুন হতে হল বাবাকে তা জানেন না বলেই মন্তব্য করেন ললিত কন্যা রেণু। পাশাপশি ভাইয়ের কঠোর শাস্তির দাবিও করেন রেণু ।

ব্যারাকপুরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অনুপম সিংহ এই প্রসঙ্গে জানান, বুধবার সকালে ছেলে গৌতম অধিকারী থানায় এসে জানায়, সে তার বাবাকে খুন করেছে। বাবা বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে তাকে বিরক্ত করতেন বলেও অভিযোগ জানান গৌতম। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × five =